শঙ্কা কাটিয়ে বাংলাদেশে আসছে আফগান যুবারা
জীবনই যেখানে অনিশ্চয়তায়, সেখানকার খেলাধুলার ভবিষ্যত হুমকির মুখে পড়ে যাবে: সেটাই স্বাভাবিক। ক্ষমতার পালা বদলে আফগানিস্তানে অস্থিরতা তৈরি হয়। এর প্রভাব পড়ে আফগান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বাংলাদেশ সফরে। গত ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ সফরে আসার কথা থাকলেও তারা আসতে পারেনি।
কাবুল থেকে সব ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) আলোচনা করে সফরটি স্থগিত করেছিল। অবশেষে শঙ্কা কেটে গেছে। বাংলাদেশ সফরে আসছে আফগানিস্তান অনুর্ধ-১৯ দল। দুই ভাগে ভাগ হয়ে আসবে আফগানরা। প্রথম ভাগ ৪ সেপ্টেম্বর বিকালে ঢাকা পৌঁছাবে। দ্বিতীয় ভাগে বাকিরা আসবেন ৫ সেপ্টেম্বর।
২১ দিনের এই সফরে আফগান যুবারা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ৫টি ওয়ানডে ও একটি চারদিনের ম্যাচ খেলবে। সবগুলো ম্যাচই হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। শনিবার ঢাকায় এসে সরাসরি সিলেট চলে যাবে আফগান যুব দল। সেখানে তিন দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে অনুশীলনের সুযোগ মিলবে সফরকারীদের।
দুই দিনের অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে সফরকারীরা প্রথম ওয়ানডে খেলবে ১০ সেপ্টেম্বর। বাকি ম্যাচগুলো ১২, ১৪, ১৭ ও ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শেষে ২২ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর একটি চারদিনের ম্যাচ খেলবে দুই দল। ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফিরে ২৭ সেপ্টেম্বর দেশের উদ্দেশে রওনা দেবে সফরকারী দলটি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছিল, আফগান বোর্ড থেকে সময় মতোই সফরে আসার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। শুধু বিলম্ব হতে পারে ফ্লাইট সমস্যার কারণে। শেষ পর্যন্ত সেই সমস্যাতেই চার দিন পিছিয়ে যায় সফর। আফগানিস্তান থেকে সড়ক পথে পাকিস্তানের পেশোয়ারে যায় আফগান যুব দলটি। সেখান থেকে দুবাই হয়ে ঢাকায় আসছে তারা।
ক্ষমতার রদবদল হলেও আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসা তালেবান নিশ্চয়তা দিয়েছিল, ক্রিকেটের সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ নেই। তালেবানের ঘোষণা ছিল, ক্ষমতায় গেলে ক্রিকেটের আরও উন্নয়ন করবে তারা। তালেবানের এক শীর্ষ নেতা এর আগে জানান, আফগানিস্তানে ক্রিকেট তারাই এনেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'আমরা ক্রিকেটের বিপক্ষে নই, আমরা ক্রিকেটের আরও উন্নতি করব। আফগানিস্তানে আমরাই ক্রিকেট এনেছিলাম, এটা ভুলে গেলে চলবে না।'
আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল: সুলিমান আরবজাই, সুলিমান সাফি, বিলাল সাঈদী, বিলাল আহমেদ তারিন, কামরান হোতাক, নানজেয়ালিয়া খান, ইয়ামা আরব, ফয়সাল খান আহমদজাই, মোহাম্মদ ইশাক জাজাই, ইজাজ আহমদ আজাদ, জাহিদুল্লাহ সালিমি, মোহাম্মদুল্লাহ নাজিবুল্লাহ, ইজাজ আহমাদ আহমাদজাই, ইজহারুল হক নাভিদ, শহীদ হাসানি, সাবাউন বানুরি, বিলাল সামি, মোহাম্মদ নাভিদ জাদরান ও আল্লাহ নূর নাসেরি।