পানশির প্রদেশের রাজধানীতে প্রবেশের দাবি তালেবানের
লড়াই করে বিদ্রোহী প্রদেশ পানশিরের রাজধানীতে প্রবেশের দাবি করেছে আফগানিস্তানের তালেবান গোষ্ঠী। তিন সপ্তাহ আগে জাতীয় রাজধানী কাবুল পতনের পর পানশির উপত্যকা থেকেই তালেবান বিরোধী প্রতিরোধ গড়ে ওঠে।
আজ রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) তালেবান এ দাবি করে।
তালেবানের মতে, প্রাদেশিক রাজধানী বাজারাক- এর নিকটবর্তী জেলা সদর রুখাহ তাদের দখলে এসেছে। বিরোধী যোদ্ধারা বিপুল হতাহতের শিকার হয়েছে। টুইট বার্তায় তালেবানের একজন মুখপাত্র বিলাল কারিমি, বিপুল পরিমাণ যুদ্ধবন্দী আটকসহ সামরিক যান, অস্ত্র ও গোলাবারুদ হস্তগত করার দাবিও করেন।
তবে বাজারাকে এখনও লড়াই অব্যাহত থাকার কথাও বলেছেন তিনি। তাঁর এসব দাবি সম্পর্কে তাৎক্ষনিকভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি বার্তাসংস্থা- রয়টার্স।
তালেবানের অন্যান্য আনুষ্ঠানিক টুইটার হ্যান্ডেলেও একই দাবি করা হচ্ছে।
এর আগে রোববার তালেবান বিরোধী ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফোর্স অব আফগানিস্তান (এনআরএফএ)- এর মুখপাত্র ফাহিদ দাশতি জানান, তালেবানের প্রচারযন্ত্র মিথ্যে বার্তা দিয়ে সকলকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।
তিনি বলেন, "আমাদের যোদ্ধারা যেকোন ধরনের আগ্রাসন প্রতিরোধ চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।"
তবে গতকাল শনিবার পানশিরের আনাবাহ জেলায় হাসপাতাল পরিচালনাকারী একটি ইতালীয় ত্রাণ সংস্থা জানায়, তালেবান যোদ্ধারা তাদের হাসপাতালের কাছে পৌঁছে গেছে।
আগেও অবশ্য তালেবান কর্মকর্তারা পানশিরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু, উপত্যকাটিতে গত কয়েকদিন ধরেই তুমুল লড়াই চলার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। বিবাদমান দুই পক্ষ থেকেই একে-অপরের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি করার দাবিও শোনা যাচ্ছে।
এনআরএফএ নেতা আহমেদ মাসুদ তালেবান আগ্রাসন মোকাবিলায় দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে আন্তর্জাতিক সহায়তার আহবান জানিয়েছেন।
জাতীয় রাজধানী কাবুল থেকে অদূরে অবস্থিত দুর্গম পাহাড়ি উপত্যকা পানশিরে আজো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে সোভিয়েত বাহিনীর ধ্বংস হয়ে যাওয়া অনেক ট্যাঙ্ক। অতীতে বহুবার এ উপত্যকা নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়েছে সোভিয়েত বাহিনী ও তালেবান।
আহমেদ মাসুদের প্রয়াত পিতা ও বিখ্যাত মুজাহেদিন কমান্ডার আহমেদ শাহ মাসুদ এখানে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।
- সূত্র: রয়টার্স