কোভিড হাসপাতালে ৭৯ শতাংশ সাধারণ শয্যা খালি
দেড় মাসের বেশি সময় নির্ধারিত শয্যার তুলনায় বেশি রোগী ভর্তি থাকা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বুধবার ৮১টি সাধারণ শয্যা খালি ছিল। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের মতো মুগদা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে কোভিড রোগীর চাপ কমেছে। সারা দেশের কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে বর্তমানে ৭৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ সাধারণ শয্যা ও ৫৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ আইসিইউ শয্যা খালি রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুসারে, বুধবার (৮সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ৫২ জন মারা গেছেন। গত ৮৭ দিনের মধ্যে মৃতের সংখ্যা সর্বনিম্ন।
এর আগে, তালিকা অনুসারে গত ১৩ জুন করোনায় আক্রান্ত ৪৭ জনের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৭ হাজার ৫২৮টি নমুন পরীক্ষার ভিত্তিতে দুই হাজার ৪৯৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, কোভিড ডেডিকেটেড ১৬ হাজার ৩১৭ সাধারণ শয্যার মধ্যে খালি রয়েছে ১২ হাজার ৯৪৯টি ও এক হাজার ২৯৮টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি আছে ৭৪৭টি। এর মধ্যে ঢাকার কোভিড ডেডিকেটেড সরকারি হাসপাতালগুলোতে ১৬১টি আইসিইউ শয্যা খালি আছে। তবে, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে কোনো আইসিইউ শয্যা খালি নেই।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোহাম্মদ নাজমুল হক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আমাদের হাসপাতালে কোভিড রোগীর চাপ অনেক কমেছে। আজ ৪৭২ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। গত দুই সপ্তাহে রোগীর সংখ্যা ৪৫০ জনে নেমে এসেছিল। তবে গত দুই দিন ধরে রোগী কিছুটা বেড়েছে। তাই আমরা কিছুদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে চাই।"
তিনি আরো বলেন, "কোনো আইসিইউ খালি না থাকলেও অপেক্ষমান রোগীর চাপ কিছুটা কমেছে। সব মিলিয়ে কোভিড পরিস্থিতি সন্তোষজনক।"
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. অসীম কুমার নাথ বলেন, "এখন আমাদের হাসপাতাল থেকে কোনো রোগী ফেরত পাঠানো হচ্ছে না, সবাই শয্যা পাচ্ছেন। বর্তমানে আমাদের হাসপাতালে ১৫৩ জন রোগী ভর্তি আছেন। এখন দিনে গড়ে ২০ জন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে, গত মাসের শুরুতে যা ৮০-৯০ ছিল। এখন মাঝেমধ্যে দুই-একটা আইসিইউ বেডও খালি থাকছে।
ডা. অসীম কুমার নাথ আরও বলেন, "হাসপাতালে রোগীর চাপ কমেছে তবে এটি কতদিন থাকে সেটি চিন্তার বিষয়। মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মানায় অবহেলা করা যাবে না, তাহলে আবার পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।"
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, টানা পঞ্চম দিনের মতো সংক্রমণ হার ১০ শতাংশের নিচে। ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ হার ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে ২৬ হাজার ৭৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি নথি অনুসারে, দেশে করোনা ছড়ানোর পর এখন পর্যন্ত ১৫ লাখ ২২ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।