৩৩ মিনিটে ভোট দিলেন ড. কামাল
ঢাকা সিটির নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার (ইভিএম) নিয়ে বিরোধী দলের ক্রমাগত সমালোচনার মধ্যেই ভোট প্রদান নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন।
শনিবার সকালে রাজধানীর বেইলি রোডের ভিকারুন্নিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন ড. কামাল। সেখানে ভোট দিতে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় ৩৩ মিনিট ব্যয় করতে হয়ে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদকে। পরে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার পিন নম্বর ব্যবহার করে ভোট দিতে হয় তাকে।
ভিকারুন্নিসা স্কুলের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে ভোট প্রদান করেন ড. কামাল। ইভিএম মেশিনের কন্ট্রোল ইউনিটে প্রথমে বৃদ্ধাঙ্গুলের ছাপ দেন তিনি, কিন্তু তা না মেলায় তর্জনী আঙ্গুলের ছাপ দিতে বলেন এই কক্ষের সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কাউসার-ই-জাহান। কোনো আঙ্গুলের ছাপই মেশিনে না মেলায় চার-পাঁচবার চেষ্টা করেন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। কিন্তু কামাল প্রতিবার আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার পর কম্পিউটার মনিটরে লাল রঙে ভাসছিল ‘আবার চেষ্টা করুন’। এসময় কামাল হোসেনকে একটু রাগান্বিত দেখাচ্ছিল।
কোনোভাবেই ড. কামালের আঙ্গুল ইভিএম মেশিন শনাক্ত করতে না পারায় নিজের পিন নম্বর ও আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করেন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। এরপর কম্পিউটার মনিটরে কামাল হোসেনের ছবি, বয়স, ভোটার নম্বর এবং বাসার ঠিকানা ভেসে উঠে। তারপর বাকী প্রক্রিয়া সেরে গোপন কক্ষে ঢুকে ইভিএমে নিজের ভোট দেন কামাল।
ভোট প্রদান শেষে নিচে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে ইভিএম নিয়ে নিজের অসন্তুষ্টির কথা জানান গণফোরাম সভাপতি কামাল।
তিনি বলেন, “জনগণ ইভিএমের ওপর কোনো আস্থা রাখতে পারছে না। তারা ভাবছে এটা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। এজন্য ভোটারদের উপস্থিতি দেখে আমি হতাশ। এতে আমি মোটেও সন্তুষ্ট নই।”