ক্ষুদ্র ঋণের সুদহার এক অঙ্কের বাইরে রাখতে ফের অনুরোধ
ক্ষুদ্র, কটেজ ও মাইক্রো ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হলে ব্যাংক ও গ্রাহক উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) নেতারা।
রোববার এবিবির নতুন কমিটির নেতারা রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়ে এ আশঙ্কার কথা জানান।
এবিবির চেয়ারম্যান ও ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী রেজা ইফতেখার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
ওই সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এবিবির মহাসচিব ও প্রাইম ব্যাংকের এমডি রাহেল আহমেদ, সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন প্রমুখ।
জানতে চাইলে প্রাইম ব্যাংকের এমডি রাহেল আহমেদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ''এবিবির সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্তের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে আমরা জানিয়েছি। বিশেষ করে আমানত ও ঋণের সুদহার কমিয়ে আনার বিষয়টি গভর্নরকে অবহিত করা হয়েছে।"
বাংলাদেশ ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ঋণের সুদ হার ৯ শতাংশের বেশি রাখতে এবিবির নেতারা গভর্নরের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন। গভর্নর তাদেরকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানাতে বলেছেন।
আগামী ১ এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ধরনের ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার নির্দেশনা রয়েছে সরকারের। এ জন্য আমানতের সুদহার ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতেও বলা হয়েছে, যা এরই মধ্যে বাস্তবায়ন শুরু করেছে ব্যাংকগুলো।
জানতে চাইলে ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ''ক্ষুদ্র, কটেজ ও মাইক্রো ঋণকে বলা হয় ইনটেসিভ সুপারভাইজরি ঋণ। এই ঋণ বিতরণ ও আদায় করার খরচ অনেক বেশি। এ কারণে এই ঋণের সুদহার কমিয়ে আনলে অনেক ব্যাংকই এ ধরনের অর্থায়নে যাবে না। তখন কিন্তু ক্ষুদ্রঋণের জন্য গ্রাহকদের আবার সেই মহাজনের কাছে যেতে হবে। তখন তাদেরকে ৫০ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে হবে।”
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছেও একই দাবি জানিয়েছিলেন এবিবির নেতারা।
পরের দিন বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সভায়ও এসএমইর এস (ক্ষুদ্র) অংশটি এবং রিটেইল বা ভোক্তাঋণকে এক অঙ্কের সুদের বাইরে রাখার দাবি জানিয়েছিলেন ব্যাংকাররা।