উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো হবে পেসার হাসান মাহমুদকে
দীর্ঘদিন ধরে পিঠের চোটে ভুগছেন হাসান মাহমুদ। লম্বা পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার পরও মাঠে ফেরা হচ্ছে না জাতীয় দলের ডানহাতি তরুণ এই পেসারের। এবার জানা গেল তার মাঠে ফিরতে না পারার কারণ। পিঠে ব্যথা থাকলেও ঠিক কোন জায়গায় ব্যথার উৎপত্তিস্থল, সেটা নির্ণয় করা যাচ্ছে না। তাই বিদেশে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হাসানের।
বৃহস্পতিবার এমনই তথ্য দিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) হাসানকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চলতি বছরের মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে পিঠের চোটে পড়েন হাসান। এরপর বেশ কিছুদিন বিশ্রামে থাকেন ডানহাতি এই গতি তারকা। বিশ্রামের পর জাতীয় দলের ফিজিওর অধীনে তার পুনর্বাসন শুরু হয়। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বোলিংও শুরু করেন তিনি।
শুরুতে এক ওভার করে বোলিং করেন তিনি। উন্নতি হওয়ায় বাড়াতে থাকেন ওভারের পরিমাণ। পুরো সামর্থ্য দিয়ে না করলেও ৪ ওভারের বোলিং সাইকেল শুরু করেন হাসান। কিন্তু ফল ভালো মেলেনি। পুরনো ব্যথা আবারও মাথা চাড়া দেয়। সব মিলিয়ে সব মিলিয়ে প্রায় ছয় মাস সময় ধরে মাঠের বাইরে হাসান মাহমুদ।
হাসানের পিঠের কোথায় সমস্যা, সেটাই নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। উপায় না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বিদেশে চিকিৎসা করানোকেই যুক্তিযুক্ত মনে করছে বিসিবি। বায়োমেকানিক্যাল পদ্ধতির মাধ্যমে হাসানের বোলিং অ্যাকশন পর্যবেক্ষণ করানোর পরিকল্পনা বিসিবির। এই পদ্ধতিতে দেখা বোঝা যাবে, অ্যাকশন নাকি অন্য কোনো কারণে ব্যথ্যা ফিরে আসছে।
দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, 'সে আমাদের তত্ত্বাবধনে দীর্ঘ সময় ধরে পুর্নবাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরীক্ষা করে ওর অনেক বিষয় দেখেছি। ওর মধ্যে আমরা বড় কোনো সমস্যা খুঁজে পাইনি। আমরা এখন মনে করছি সমস্যা খুঁজে বের করার জন্য তার একটি বায়োমেকানিক্যাল মূল্যায়ন প্রয়োজন।'
এই প্রযুক্তি বাংলাদেশে নেই বলে বিদেশকেই বেছে নিতে হচ্ছে। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক বলেন, 'যদিও এটা আমাদের দেশে সম্ভব নয়। আমরা চেষ্টা করছি যে দেশে এই সুবিধা আছে, সেখানে কোথাও পাঠিয়ে ওর এই ব্যাপারটির মূল্যায়ন করব। করোনার কারণে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণে বিধি নিষেধ আছে। কয়েক জায়গায় কথা বলছি। আমাদের কথা বার্তা চূড়ান্ত হলে দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে তাকে দেশের বাইরে পাঠাব।'
ইংল্যান্ডে পাঠানোর পরিকল্পনা থাকলেও সেটা হচ্ছে না। কারণ মেডিকেল ভিসা দিচ্ছে না দেশটি। তাই দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত বা দুবাইয়ের যেকোনো একটি দেশে হাসানকে পাঠিয়ে তার উন্নত চিকিৎসা করানো হবে। তিনটি দেশ ভাবনায় থাকলেও জাতীয় দলের ফিজিও জুলিয়ান ক্যালেফাতোর পরামর্শে ডানহাতি এই পেসারকে দক্ষিণ আফ্রিকাতে পাঠানো হতে পারে।
২০২০ সালের মার্চে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় হাসান মাহমুদের। মিরপুরেই পরের বছর মার্চে তার ওয়ানডে অভিষেক হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। জাতীয় দলের হয়ে ৩টি ওয়ানডেতে ৫টি উইকেট নেওয়া হাসান একটি টি-টোয়েন্টি খেলে কোনো উইকেট পাননি।