এস কে সিনহা এবং ১০ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলার রায় পেছালো
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ৪ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দায়ের করা দুর্নীতি মামলার রায় পিছিয়ে দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
আগামী ২১ অক্টোবর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক আলী হোসেন নতুন তারিখ ধার্য করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম জানিয়েছেন, বিচারকের অসুস্থতার কারণে রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।
এস কে সিনহা ছাড়াও অভিযুক্ত বাকি ১০ জন হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) একেএম শামীম, সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের মো. শাহজাহান, নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রঞ্জিত চন্দ্র সাহা এবং তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।
মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ নামে আরেক আসামী মৃত্যুবরণ করায় তাকে খালাস দেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে এস কে সিনহা, সাফিউদ্দিন আসকারী, রঞ্জিত চন্দ্র সাহা এবং তার স্ত্রী পলাতক রয়েছেন।
জানা যায়, কথিত ব্যবসায়ী শাহজাহান ও নিরঞ্জন ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে চার কোটি টাকা ঋণ পেয়েছিলেন। সেই টাকা রনজিৎ চন্দ্র সাহার হাত ঘুরে বিচারপতি সিনহার বাড়ি বিক্রির টাকা হিসেবে দেখিয়ে তার ব্যাংক হিসাবে ঢুকেছে বলে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে দুদক।
দুর্নীতি দমন আইন এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অধীনে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
পরে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ফারমার্স ব্যাংক থেকে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ বাদী হয়ে মামলা করেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
ওই বছরের ডিসেম্বরে দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
পরে একই বছরের ১৩ আগস্ট আদালত এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।