নিকেই কোভিড-১৯ পুনরুদ্ধার র্যাঙ্কিংয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে বাংলাদেশ
দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে নিকেই কোভিড-১৯ রিকভারি ইনডেক্স- এ বেশি পয়েন্ট পেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। জাপানি সংস্থাটির কোভিড-১৯ পুনরুদ্ধার সূচকের সর্বশেষ সংস্করণে এ অর্জন এসেছে, যা মহামারির প্রতিক্রিয়ায় সরকারের পুনরুদ্ধার চেষ্টাকে তুলে ধরছে।
গত বুধবার প্রকাশিত নিকেই এর সূচক সারণীতে বৈশ্বিকভাবে ৪৮ ধাপ উন্নতি করে ২৬তম স্থান অধিকার করেছে বাংলাদেশ।
এ সূচকে বিশ্বের ১২১ দেশ ও অঞ্চলকে সংক্রমণ ব্যবস্থাপনা, টিকাদান হার, সামাজিক গতিশীলতা (আর্থিকভাবে আরও স্বচ্ছল হয়ে ওঠা) ইত্যাদি মানদণ্ডে প্রতি মাস শেষে ০-৯০ পর্যন্ত স্কোর দেওয়া হয়।
এতে বাংলাদেশ মোট ৬০ স্কোর অর্জন করেছে, যা সূচকের আওতায় থাকা অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশের চেয়ে বেশি।
৫৮.৫ স্কোর নিয়ে আঞ্চলিকভাবে দ্বিতীয় হয়েছে পাকিস্তান, আর বৈশ্বিকভাবে ৩৩তম স্থান লাভ করে। অন্যদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় অর্থনীতি ভারত আঞ্চলিকভাবে তৃতীয় ও বৈশ্বিকভাবে ৪০তম স্থান পেয়েছে। এরপরই রয়েছে নেপাল (৪৪তম) ও শ্রীলঙ্কা (৬১তম) স্থানে।
মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারে এ অঞ্চলে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থান আফগানিস্তানের, বৈশ্বিকভাবে দেশটি ৯৭তম হয়েছে।
নিকেই পুনরুদ্ধার সূচকের আগের সংস্করণে ৭৪তম হয়েছিল বাংলাদেশ।
সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুসারে, "র্যাংকিংয়ে অবস্থান যত উপরের দিকে, কোন দেশের সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনাও ততো নিকটে। যেসব দেশে সংক্রমণ হার কম, টিকাদানের হার বেশি এবং সে সুবাদে অপেক্ষাকৃত শিথিল সামাজিক দূরত্বের বিধি রয়েছে- তারাই উপরের সাড়িতে স্থান পেয়েছে।"
এব্যাপারে প্রসিদ্ধ ভাইরোলজিস্ট ও কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, "আগামী বছরের মধ্য মার্চের আগে দেশে সংক্রমণ বাড়বে বলে মনে হয় না। তবে তারপর সংক্রমণ বাড়তে পারে।"
"সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে আমাদের সকল শ্রেণীর মানুষের মধ্যে গণ-টিকাদান নিশ্চিত করতে হবে। তারপরও যদি সংক্রমণ হার বাড়ে, তখন মৃত্যুহার বাড়বে না," যোগ করেন তিনি।
পুনরুদ্ধার সূচকে ৭৩ স্কোর নিয়ে প্রথম স্থান লাভ করেছে মাল্টা, তারপরই রয়েছে চিলি, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব।
গত জুলাইয়ে যখন সূচকটি প্রথম প্রকাশিত হয় তখন শীর্ষস্থানে ছিল চীন, তবে সেপ্টেম্বরের সংস্করণে চীন ৯ম স্থানে নেমে এসেছে।
৩০ দশমিক ৫ স্কোর পেয়ে সূচক সারণীর সবচেয়ে নিচে অবস্থান করছে ফিলিপাইন। তার আগে রয়েছে- লাওস, গ্যাবন, ভিয়েতনাম ও বারবাডোস।
এর আগে গত ২৯ স্পেটেম্বর যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অর্থনৈতিক তথ্য বিশ্লেষক ও সংসবাদ পরিবেশক ব্লুমবার্গ তাদের কোভিড স্থিতিস্থাপকতা সারণী প্রকাশ করে। সেখানে ৫৩টি দেশের মধ্যে পাঁচ ধাপ এগিয়ে বৈশ্বিকভাবে ৩৯তম স্থান পায় বাংলাদেশ। এই অগ্রগতি প্রাণঘাতী ভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের সহনশীলতা শক্তিশালী হওয়ার দিকটি তুলে ধরে।