বাংলাদেশি লাল মরিচের ‘ড্রোন ফটো অ্যাওয়ার্ড’ জয়!
বিশ্বের কিছু অদেখা বিস্ময়কর দৃশ্য ফুটে উঠেছে এ বছরের ড্রোন ফটো অ্যাওয়ার্ডের বিজয়ী ছবিগুলোতে।
চতুর্থবারের মতো আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় এ বছর ১০৫টি দেশ থেকে ২,৯০০ জন পেশাদার ও অপেশাদার ফটোগ্রাফারের তোলা ছবি জমা পড়ে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশি একজন ফটোগ্রাফারের ছবিও।
বাংলাদেশি এমডি তানভীর হাসান রোহান নিউইয়র্কের একজন ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার। সব সময়ই উঁচু কোনো স্থান থেকে ছবি তোলার চেষ্টা করেন তিনি। তানভীর বলেন, 'আমি এমন জায়গা খুঁজে বের করার চেষ্টা করি, যেখানে উপর থেকে সম্পূর্ণ এলাকাটি দেখতে পাব।'
বগুড়ায় তোলা তার একটি ছবি জায়গা পেয়েছে এবারের ড্রোন ফটো অ্যাওয়ার্ডের ছবিগুলোর মধ্যে।
এই আয়োজনের বিষয়ে কেন গেইগার বলেন, গত কয়েক বছরে সস্তা ও উন্নত ড্রোনের সহজলভ্যতা নতুন এই স্টাইলকে জনপ্রিয় করতে সাহায্য করেছে। বিশেষ করে অপেশাদারদের মধ্যে এটি বেশ জনপ্রিয়। পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী ফটোগ্রাফার এবং এই বছরের বিচারকদের একজন তিনি।
গেইগার আরও বলেন, ড্রোন ফটোগ্রাফি 'আমাদের গ্রহের বিষয়ে এমন কিছু বিষয় জানতে সাহায্য করে, যা আমরা আগে কখনো জানতাম না।'
প্রতিযোগিতাটি সব ধরনের অ্যারিয়েল ফটোগ্রাফির জন্য উন্মুক্ত। ড্রোন ছাড়াও ব্লিম্প (গ্যাসচালিত এক ধরনের এয়ার বেলুন), ঘুড়ি, প্যারাসুট, হেলিকপ্টার এবং এমনকি হট এয়ার বেলুন থেকে তোলা ছবিও জমা দেওয়া যায় এ প্রতিযোগিতায়।
মৎস শিকার
ছবিটি ভিয়েতনামের হিউ প্রদেশে তোলা। ত্রুং তার এ ছবিকে 'মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য' রক্ষাকারী দৃশ্য হিসেবে অভিহিত করেছেন।
হিমেল সৈকতে
কাজাখস্তানের আলমাটির একটি জলাধারে তোলা হয় এ ছবি। আলেকজান্দ্র বলেন, কাজটি ছিল বেশ কঠিন। ১৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় বরফে শুয়ে পোজ দেওয়া অবস্থায় ড্রোনটি পরিচালনা করছিলেন তিনি।
লাল মরিচের ঝাল
একদম উপরের 'রেড চিলিস হারভেস্টিং–বাংলাদেশ' শিরোনামের ছবিটি বগুড়ার একটি কারখানায় তোলা। আলোকচিত্রী তানভীর হাসান রোহান বলেন, 'বগুড়ার লাল মরিচ সারা দেশে বিখ্যাত।' কিন্তু শ্রমিকরা ১০ ঘণ্টা কাজের পরও মাত্র ২ ডলার (১৭১ টাকা) পেয়ে থাকেন।
বিজয়ী ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত অন্যান্য ছবি
-
সূত্র: কেপিভিআর