কীভাবে চাপ সামলাতে হয়, জানা আছে সাকিবের
৬ বলে প্রয়োজন ৭ রান; লম্বা পথ নয়। কিন্তু এমন সময়ে স্নায়ুযুদ্ধে হেরে যান অনেক ক্রিকেটারই। যেখানে ব্যতিক্রম সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার যেকোনো অবস্থায় দৃঢ়চেতা। আইপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে সেটা আবারও প্রমাণ করেছেন তিনি।
কলকাতা নাইট রাইডার্সকে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তোলার দৌড়ে ব্যাটে-বলে অবদান রেখেছেন সাকিব। কোনো উইকেট না পেলেও বল হাতে ৪ ওভারে ২৪ রান খরচা করা বাঁহাতি এই স্পিনার বেঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যানদের ভালোই পরীক্ষা নিয়েছেন। পরে ১৪ বল বাকি থাকতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ বলে অপরাজিত ৯ রান করেন তিনি।
ড্যান ক্রিশ্চিয়ানের করা ২০তম ওভারের প্রথম বলেই স্কুপ শটে চার মেরে জয়ের কাজটি সহজ করে দেন সাকিব। চাপের মুখে দাঁড়িয়ে এমন শট কীভাবে খেলেন? এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, এমন চাপ সামলানোর দক্ষতা ধীরে ধীরে বাড়িয়ে নিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে খেলার কারণে চাপ সামলানোর সামর্থ্য চলে এসেছে।
সাকিব বলেন, 'চাপ সব সময় থাকে। কিন্তু পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া শিখে নিতে হয় আমাদের। কারণ আমি অনেক দিন ধরে খেলছি এবং দীর্ঘদিন ধরে আমার জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করছি। এই ধরনের চাপ নিয়ন্ত্রণ করার দক্ষতা উন্নত করে নিয়েছি।'
আইপিএলের এবারের আসরের শুরুতে খারাপ সময়ই গেছে কলকাতার। ভারতে অনুষ্ঠিত প্রথম পর্বে হারের বৃত্তে বন্দি ছিল দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রতিটি ম্যাচই তাদের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই চ্যালেঞ্জ জিতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিয়েছে তারা। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামী ১৩ অক্টোবর দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হবে কলকাতা।
কলকাতা এখন আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর, এমন একটি দলকে কেউ হালকাভাবে নেবে বলে মনে করেন সাকিব। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার বলেন, 'আগের মতো করে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করব। আরব আমিরাতে আসার পর থেকে আমরা নকআইট মেজাজে ছিলাম এবং আমরা ধাপে ধাপে প্রতিটা চ্যাঞ্জ উতরে গেছি। ভালো একটা ব্যাপার হলো কলকাতার ক্যাম্পে আমরা যেভাবে আত্মবিশ্বাস উন্নত করছি, তাতে কোনো দলই আমাদের হালকাভাবে নেবে না।'