'প্রতি বছর সুপার বোল আয়োজিত হলে দ্বিবার্ষিক বিশ্বকাপ কেন নয়?'
দ্বিবার্ষিক ফিফা বিশ্বকাপের ফলে টুর্নামেন্টটির 'জাদু' ফিকে হয়ে যাবে না, কেননা এর গুণগত মান ও সম্মানের সঙ্গে টুর্নামেন্টটি কতদিন পর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তার কোনো সম্পর্ক নেই। মঙ্গলবার এ কথা বলেন ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
প্রতি দুই বছর অন্তর ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করা যায় কি না, সে বাস্তবায়নযোগ্যতা খতিয়ে দেখার জন্য একটি গবেষণা চালাচ্ছে বৈশ্বিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তবে ইতোমধ্যেই ফিফার এ পরিকল্পনার কঠোর সমালোচনা করেছে বিভিন্ন সংস্থা, ক্লাব, খেলোয়াড় ও ভক্তগোষ্ঠী।
কিন্তু ইসরায়েলে অবস্থানকালে গণমাধ্যমকে ইনফান্তিনো বলেন, '৪৮ দল নিয়ে বিশ্বকাপের (২০২৬ সাল থেকে) সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই গৃহীত হয়েছে। তবে এটি প্রতি দুই বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হবে নাকি চার বছর পর পর, সে ব্যাপারে এখন আলাপ-আলোচনা চলছে।'
তিনি আরও বলেন, 'অবশ্যই আমি বিশ্বাস করি আসরগুলো, সেটি বিশ্বকাপই হোক বা অন্য কিছু, আরও বেশি বেশি আয়োজনে। সঠিকভাবে বলতে গেলে, এটি একটি ম্যাজিক টুর্নামেন্ট, সে কারণেই এটি আরও ঘন ঘন আয়োজিত হওয়া উচিত।
'একটি আসরের সম্মান নির্ভর করে সেটির গুণগত মানের উপর, সেটির ফ্রিকোয়েন্সির (পৌনঃপুনিকতা) উপর নয়। প্রতি বছরই তো সুপার বোল, উইম্বলডন কিংবা চ্যাম্পিয়নস লিগ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারপরও সবাই এগুলোর ব্যাপারে রোমাঞ্চিত হয়, এগুলোর জন্য অপেক্ষা করে থাকে।'
ইনফান্তিনো আরও জানিয়েছেন যে ফিফা বর্তমানে ক্লাব বিশ্বকাপের বিস্তারের কথা ভাবছে। বর্তমানে ক্লাব বিশ্বকাপ প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়।
'আমরা চাই জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ও ঘরোয়া লিগের মূল্য বৃদ্ধি করতে,' তিনি বলেন। 'আমরা চাইছি সঠিক ফরম্যাট খুঁজে বের করতে, যেটি বার্ষিক সূচি ও অন্যান্য আসরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না।'
ইনফান্তিনোর কাছে প্রশ্ন রাখা হয় যে ইসরায়েল কখনো বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হতে পারবে কি না। জবাবে তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের অন্য কোনো প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে মিলিত হয়ে তারা সহ-আয়োজক হতেই পারে।
'আমরা কেন ইসরায়েল ও তাদের প্রতিবেশী দেশগুলোয় বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বপ্ন দেখব না? আব্রাহাম অ্যাকর্ড (ইসরায়েল–সংযুক্ত আরব আমিরাত শান্তি চুক্তি) অনুযায়ী, আমরা কেন ইসরায়েল এবং মধ্যপ্রাচ্যে তাদের প্রতিবেশী দেশগুলো ও ফিলিস্তিনে বিশ্বকাপও আয়োজন করব না?' ফিফা সভাপতি প্রশ্ন রাখেন।
- সূত্র: রয়টার্স