সরকারকে সরে দাঁড়াতে বললেন ড. কামাল
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়ে 'জনগণের সঙ্গে প্রহসন করায়' সরকারকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে খালেদার কারাবাসের দুই বছর ও তার মুক্তির দাবিতে ঐক্যফ্রন্টের আয়োজন করা ওই সভায় এ কথা বলেন এক সময়ের আওয়ামী লীগ নেতা ড. কামাল।
তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে হবে। সেই সংসদে যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে তারা দেশ পরিচালনা করবে। এখন যারা আছে, তাদের লাথি মেরে দেশ থেকে বের করে দিতে হবে। পদত্যাগ পদত্যাগ বললে হবে না। পদত্যাগ না করলে লাথি মেরে নামাতে হবে। ওই সব ভাষায় না হলে, তাদের হাত ধরে টেনে রাস্তায় নামিয়ে দিতে হবে। সত্যিকার অর্থে আমাদের দেশের মালিকের ভূমিকায় আসতে হবে।’
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ কামাল বলেন, ‘দেশের ১৬ কোটি মানুষের অধিকার হচ্ছে, দেশে গণতন্ত্র থাকবে। প্রকৃত অর্থে নির্বাচিত সদস্যরা দেশ পরিচালনা করবেন। সেখানে আজকে আমাদের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের নিজের অধিকার আদায় করে নিতে হবে।’
‘দেশের ইতিহাস থেকে আমরা দেখেছি, জনগণকে বঞ্চিত করে এখানে কেউ স্বৈরতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারেনি। আজকে যারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের সেই ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে দেখা উচিত। বাঙালি জাতি কখনই স্বৈরতন্ত্রকে মেনে নেয়নি, নেবেও না।’
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রকৃত মালিক জনগণ। মালিক হিসেবে দেশের জনগণকে যেন সম্মান জানানো হয়। মালিক হিসেবে দেশের জনগণ যেন ভূমিকা রাখতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়ে জনগণের এ অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশের জনগণকে বঞ্চিত করে সরকার দেশ চালাচ্ছে, এটা আমরা মেনে নিতে পারি না।’
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর হতে যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার ব্যাপার। সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে দেশের মানুষকে বঞ্চিত করছে। সরকার স্বাধীনতার ৫০ বছর পালন করতে যাচ্ছে। মানুষকে বঞ্চিত করে স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন এটা একটা প্রহসন। যারা এ প্রহসন করছে জনগণের সঙ্গে এখন সময় এসেছে তাদের সহজ ভাষায় বলার, সরে দাঁড়াও, সরে দাঁড়াও, সরে দাঁড়াও।’
প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি নুরুল আমিন ব্যাপারী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির শহীদুল্লাহ কাউসার, ফ্রন্টের দপ্তরের নেতা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।