কিডনি জটিলতায় ভোগা লাখো রোগীর জীবন বাঁচাবে বায়ো-আর্টিফিশিয়াল অঙ্গ   

ডায়ালাইসিস রোগীদের সুবিধার্থে তৈরি হচ্ছে বায়ো-আর্টিফিশিয়াল কিডনি ইমপ্লান্ট। এ প্রযুক্তি কিডনির জটিলতায় ভোগা রোগীদের ডায়ালাইসিস মেশিন এমনকি কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট থেকে মুক্ত করতে পারে।

'দ্য কিডনি প্রজেক্ট' এর অধীনে থাকা গবেষকরা বর্তমানে এ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন। 

সম্প্রতি এ প্রজেক্টের একটি কার্যকরী প্রোটোটাইপের সফল প্রদর্শনের জন্য ৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার জিতেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের এ অর্জন কিডনি জটিলতায় ভোগা লাখো মানুষের জীবনকে সম্ভাব্য পরিবর্তনের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিলো। 

এ প্রকল্পকে পুরষ্কৃত করেছে ইউএস ডিপার্টমেন্ট ফর হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস এবং আমেরিকান সোসাইটি অব নেফ্রোলজি এর মধ্যবর্তী পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) 'কিডনিএক্স'। নিউ এটলাসের মাইকেল আরভিং-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন বায়ো-আর্টিফিশিয়াল কিডনি ইমপ্লান্টটি ইমিউন রেসপন্স এবং ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ বা রক্তের ঘনত্ব পাতলাকারী ঔষধ ছাড়াই কাজ করে।  

সান ফ্রান্সিসকোর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার (ইউসিএসএফ) বায়ো ইঞ্জিনিয়ার এবং অধ্যাপক শুভ রায় এবং ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের ডাক্তার উইলিয়াম ফিসেল এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রকল্পটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং চিকিৎসক অন্তর্ভুক্ত আছেন।

ওয়ান্ডারফুল ইঞ্জিনিয়ারিং'কে শুভ রায় বলেন, "আমাদের টিম এমন এক ধরণের কৃত্রিম কিডনি তৈরি করেছে যা কোনো রকমের ইমিউন রেসপন্স ছাড়াই কাজ করতে পারে।"

মানুষের স্বাস্থ্যকর কিডনি মূলত রক্ত থেকে বিষাক্ত ও বর্জ্য পদার্থ ফিল্টার করা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ইলেক্ট্রোলাইট ঘনত্ব ঠিক রাখা এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ তরল নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকে। কিডনি জটিলতার চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল। তাছাড়া, এসকল জটিল অস্ত্রোপচার রোগীদের জন্য সম্পূর্ণভাবে নিরাপদও নয়।

এই নতুন ডিভাইসে সিলিকন সেমিকন্ডাক্টর পর্দা দিয়ে গঠিত একটি হেমোফিল্টার রয়েছে। ফিল্টারটি রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ আলাদা করতে সক্ষম। এছাড়াও যন্ত্রটিতে রয়েছে রেনাল টিউবিউল কোষ ধারণকারী একটি বায়োরিয়্যাক্টর যা পানির পরিমাণ, ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য এবং অন্যান্য বিপাকীয় ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এই পর্দাগুলো রোগীর ইমিউন সিস্টেম দ্বারা প্রভাবিত হওয়া থেকে দেহের কোষগুলোকে রক্ষা করে।

• সূত্র- স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন