ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: ইকবালসহ ৪ জনকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ
ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইকবাল হোসেনসহ চারজনকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কুমিল্লার আদালত।
অন্যরা হলেন- একরাম, যিনি ঘটনার পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেছিলেন এবং মসজিদের খাদেম ফয়সাল ও হুমায়ুন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "তারা প্রাথমিকভাবে নানুয়ার দীঘি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার সাথে তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।"
পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করে অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করলে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে পুলিশের আরেকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনার মধ্য দিয়ে মুসলমান এবং হিন্দু উভয় সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই এ মামলা এগোবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার কুমিল্লা পুলিশ নিশ্চিত করে যে, কক্সবাজারে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিটিই ইকবাল।
এর আগে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন। গতকাল তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখার পর হনুমানের মূর্তি থেকে গদা সরিয়ে নেওয়ার কথাও পুলিশকে জানিয়েছেন ইকবাল। তবে কার নির্দেশে এই কাজ করেছেন, তা এখনও জানাননি।
গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ের একটি অস্থায়ী মণ্ডপে কোরআন শরিফ পাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সাম্প্রদায়িক হামলা হয় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত-বাড়িতে।
পরবর্তীতে কমপক্ষে চারটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ইকবালকে মণ্ডপের আশেপাশে চলাচল করতে দেখা যায়। পুলিশ দু'দিন আগে এই ফুটেজ গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছে।
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন পাওয়াকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে চলা সহিংসতায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ছয়জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।