নিউজিল্যান্ডের মতো জার্মানিতেও মসজিদে হামলার পরিকল্পনা
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/02/17/germany_mosque.jpg)
ইউরোপ জুড়ে বাড়ছে অভিবাসন ও বর্ণবাদি রাজনীতির পক্ষে জনসমর্থন। শুধু রাজনীতিতেই নয় বরং সামাজিকভাবেও ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা অপমান, হেনস্থা এবং নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন উগ্র শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের হাতে। জার্মানিও এই প্রবণতার বাইরে নয়, বরং সাম্প্রতিক দশকে দেশটিতে উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠী এবং অপরাধী চক্রের উত্থান হয়েছে সমাজের নানা স্তরে।
গত শুক্রবার 'ডার হার্টে কার্ন' (দ্য হার্ড কোর) নামক এমনই একটি চক্রের নাশকতামূলক ষড়যন্ত্র বানচাল করে দিয়েছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এসময় উগ্রপন্থী গোষ্ঠীটির এক ডজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ ঘরে বোমা তৈরিতে ব্যবহার করা যায় এমন সব উপকরণ।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সংবাদপত্র ওয়েল্ট অ্যাম সোনট্যাগ। দৈনিকটি প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, দলটি এসব অস্ত্রশস্ত্রের মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ হামলার অনুকরণে জার্মানি জুড়ে বেশ কয়েকটি মসজিদে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। এসব হামলায় বিপুল প্রাণহানি ঘটানোয় ছিল তাদের অন্যতম লক্ষ্য। তবে আসল লক্ষ্য ছিল আরও ভয়ংকর। খবর বিবিসির।
উগ্রপন্থী দলটি আশা করেছিল, হামলার পর সংখ্যালঘু মুসলিমরা তাদের ওপর পাল্টা হামলা করবে। পাশাপাশি সরকারি দমনাভিযানের মুখে পড়ার কারণে তারা শ্বেতাঙ্গ জার্মান নাগরিকদের কাছ থেকে পাবে বিপুল সমর্থন। এই পরিস্থিতি দেশকে গৃহযুদ্ধের মুখে ঠেলে দিলে মধ্য ডানপন্থী আঞ্জেলা মরকেলের সরকার পতন হবে।
তবে তাদের এসব পরিকল্পনা ভেস্তে যায় সাহসী এক ব্যক্তির তৎপরতায়। অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি বর্ণবাদি সাজে দলটিতে অনুপ্রবেশ করেন, এবং হামলার ঠিক আগ মুহূর্তে পুলিশের কাছে হামলার চক্রান্ত ফাঁস করে দেন।
পুলিশি অভিযানে দলটির নেতা ওয়ের্নার এস নিজেও ধরা পড়েছে। ৫৩ বছরের ওয়ার্নার দক্ষিণাঞ্চলীয় অসবার্গ শহরের বাসিন্দা। সে ছাড়াও গোষ্ঠীটির অন্য ৩ প্রতিষ্ঠাতাও গ্রেফতার হয়। এরা একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে হামলায় যোগ দিতে উৎসাহী ব্যক্তিদের একত্র করেছিল।
জার্মানির সর্বোচ্চ অপরাধ দমন আদালত বিস্তারিত তদন্ত শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতে জেরা অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।