বাংলাদেশকে এলডিসি তালিকা থেকে উত্তরণের প্রস্তাব গ্রহণ জাতিসংঘে
বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ।
বাংলাদেশ সময় বুধবার ইউএনজিএ-এর ৭৬তম অধিবেশনের ৪০তম পূর্ণাঙ্গ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কোভিড-১৯ পরবর্তী পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা এবং এর মাধ্যম সৃষ্ট অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষতির বিপরীতমুখী নীতি ও কৌশল বাস্তবায়নের পাশাপাশি দেশকে এলডিসির তালিকা থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশ পাঁচ বছর সময় পাবে। জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই বলা হয়েছে।
এছাড়া, লাওস ও নেপালকেও এলডিসিভুক্ত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য একই সভায়, একই রেজুলেশন গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ।
এক টুইট বার্তায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বলেন, "ইউএনজিএ বাংলাদেশকে এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। আমাদের স্বাধীনতার ৫০ তম বার্ষিক ও বঙ্গবন্ধুর জন্মের শতবার্ষিক উদযাপনের জন্য এর চেয়ে ভালো উপায় আর কী হতে পারে! জাতীয় আকাঙ্খা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণের বছর ২০২১! জয় বাংলা।"
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এক বিবৃতিতে, এই অর্জনকে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় একটি বড় মাইলফলক বলে অভিহিত করেছেন।
এর আগে, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতার প্রমাণ হিসেবে চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো নির্দিষ্ট তিনটি মানদণ্ড (মাথাপিছু জিএনআই, মানব সম্পদ সূচক ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক) পূরণে সক্ষম হয়। এরপর জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণের সুপারিশ করে।
বৈঠকে তাদের সুপারিশ, বাংলাদেশ সাধারণ পরিষদের রেজুলেশন নং ৫০/২০৯ ও ৬৭/২২১ অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তীর্ণ হতে পারবে।
এর আগে, ২০১৮ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তীর্ণের সুপারিশ করে সিডিপি।