দেশকে স্থিতিশীল রাখতে হলে খালেদা জিয়াকে দরকার: মির্জা ফখরুল
"খালেদা জিয়া অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কারণে সরকার তাকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না। যদি দেশে শান্তি চান, দেশকে স্থিতিশীল রাখতে হলে খালেদা জিয়াকে দরকার", এ মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ সকাল ১০টা থেকে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ৯টা থেকেই নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হতে শুরু করেন। প্রেসক্লাবসহ আশেপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিল সতর্ক অবস্থানে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "সমগ্র দেশের মানুষ আজ কারাগারে বন্দী, কেউ আজ কথা বলতে পারছে না, এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে বেগম জিয়া, একমাত্র নেত্রী তিনিই যিনি এদেশের মানুষকে তাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারে।"
এ সময় হাফপাসের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, "আজকে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ বেড়ে গেছে, শিক্ষার্থীদের পরিবার অন্যান্য ব্যয়সহ পড়াশোনার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। অথচ সরকার তেলের দাম বাড়িয়ে সাথে সাথে বাসের ভাড়াও বাড়িয়ে দিয়েছে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটের স্বার্থে।"
মির্জা ফখরুল বলেন, 'এই কর্মসূচিতে আমরা সমর্থন দিলাম। ছাত্রছাত্রীদের দাবি মেনে নিয়ে প্রয়োজনে বাসভাড়ায় ভর্তুকি দেবে সরকার।"
সমাবেশে আমান উল্লাহ আমান বলেন, "সরকার আক্রোশের বর্শবর্তী হয়ে স্লো পয়জনিংয়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে শেষ করে দিতে চাচ্ছে, তাই তাকে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না। বিদেশে চিকিৎসার করালে স্লো পয়জনিং ধসে পড়ে যাবে, তাদের মুখোশ উন্মোচন হয়ে যাবে।"
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, "আল্লাহ না করুক খালেদা জিয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু হলে শেখ হাসিনা হবে ১ নম্বর আসামি; ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রীসহ প্রত্যেকেই আসামি হবে এবং বিচারের মুখোমুখি হবেই।"
সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, যুব দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু প্রমুখ।