কান্নাভেজা চোখে ফুটবলকে বিদায় বলে দিলেন আগুয়েরো
শ্বাস কষ্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ার পর থেকেই সার্জিও আগুয়েরোর অবসর নিয়ে আলোচনা হয়ে আসছিল। হৃদযন্ত্রের খারাপ অবস্থার কারণে তার পক্ষে খেলা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। মঙ্গলবার স্প্যানিশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানায়, অবসর নিতে যাচ্ছেন বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার তারকা ফরোয়ার্ড। এমন খবরের পরদিনই এলো ঘোষণা। হৃদরোগের কারণে ফুটবল থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছেন আগুয়েরো।
বুধবার ক্যাম্প ন্যুতে আনুষ্ঠানিক এক সংবাদ সম্মেলনে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। ঝুঁকি নিয়ে খেলা চালিয়ে যেতে চান না আগুয়েরো। এ কারণে বুট জোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, 'আমার স্বাস্থ্যের ব্যাপারটি সবার আগে। মেডিকেল স্টাফরা আমাকে বলেছে খেলা ছেড়ে দেওয়াই ভালো। তাই বার্সেলোনা ছাড়ছি এবং পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর নিচ্ছি।'
গত ৩০ অক্টোবর লা লিগায় আলাভেসের বিপক্ষে খেলতে নামেন আগুয়েরো। কিন্তু শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ায় মাঠ ছাড়েন তিনি। পরীক্ষার পর জানা যায়, পুরনো হৃদরোগের সমস্যা বেড়েছে তার। সে সময় তালুনিয়া রেডিও জানিয়েছিল, আগুয়েরোর হৃদযন্ত্রের খারাপ অবস্থার কারণে তার পক্ষে খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। যদিও আগুয়েরো এ খবর উড়িয়ে মাঠে ফেরার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার আর মাঠে ফেরা হলো না।
আগুয়েরোর স্বপ্ন ছিল বার্সেলোনায় নাম লেখানো এবং জাতীয় দলের সতীর্থ লিওনেল মেসির সঙ্গে একই ক্লাবে খেলা। বার্সায় ঠিকানা গেড়ে একটা স্বপ্ন পূরণ হয় তার। কিন্তু মেসি পিএসজিতে চলে যাওয়ায় তার সঙ্গে একই ক্লাবে খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়নি আগুয়েরোর। বার্সার হয়ে ৪টি ম্যাচে একটি গোল করেছেন আগুয়েরো।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে চারটি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন আগুয়েরো। ২০০৩ আর্জেন্টাইন ক্লাব ইন্দিপেন্দিয়েন্তে দিয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয় তার। তিন বছর পর স্প্যানিশ ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদে নাম লেখান তিনি। ক্লাবটির হয়ে পাঁচ বছর খেলার পর ২০১১ সালে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন আগুয়েরো। ইংলিশ এই ক্লাবটির হয়ে সবেচেয়ে বেশি সময় ১০ বছর খেলেন তিনি। ২০২১ সালে বার্সেলোনা তাকে দলে ভেড়ায়।
২০০৬ সালে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে অভিষেক হয় আগুয়েরোর। দীর্ঘ ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে আকাশী-সাদা জার্সিতে ১০১টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি, গোল করেছেন ৪১টি। যা আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ। ৮০ গোল নিয়ে সবার ওপরে লিওনেল মেসি। ৫৪ গোর নিয়ে দুই নম্বরে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা।