ব্রিজিট মাখোঁর লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে মিথ্যা দাবি, মামলা করবেন ফরাসি ফার্স্ট লেডি
লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার করায় একটি ইন্টারনেট ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিজিট মাখোঁ (৬৮)। উল্লেখিত তত্ত্বে তাকে একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়। বলা হয়, তিনি একজন পুরুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছেন।
ব্রিজিট মাখোঁকে লক্ষ্য করে সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে কিছু গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সেপ্টেম্বরে সেসব তথ্য প্রকাশ করে একটি ওয়েবসাইট।
ওয়েবসাইটে বলা হয়, তিনি জাঁ-মিশেল ট্রোগনো নামে একজন পুরুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন।
ব্রিজিট মাখোঁর একজন আইনজীবী নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি সেই ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে আইনজীবী জাঁ এনোচি নিশ্চিত করে বলেন, "তিনি মামলার বিচার শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।"
ব্রিজিট মাখোঁর স্বামী, রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল মাখোঁর বিরোধিতাকারী অ্যাকাউন্টগুলোর মাধ্যমে এই গুজব ছড়ানো হয়। এরমধ্যে অধিকাংশই চরম-ডানপন্থী রাজনৈতিক দলের সদস্য।
এদিকে নাতাচা রে নামক একজন নারীর জার্নালে লেখা একটি নিবন্ধে এই গুজব নিয়ে প্রথম লেখা হয় বলে জানতে পেরেছে ফরাসি মিডিয়া। লিবারেশন সংবাদপত্র অনুসারে, অ্যান্টি-ভ্যাক্সার, কোভিড-সন্দেহবাদী এবং চরম-ডানপন্থী দলের সদস্যরা এই লেখা শেয়ার করার পর এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
২০১৭ সালে তার স্বামী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ব্রিজিট ম্যাক্রোঁকে লক্ষ্য করা হয়। এর গাওএ কয়েকবার ব্যঙ্গ করা হয় তাকে। তার এবং ইমানুয়েল মাখোঁর বয়সের মধ্যে ২৫ বছরের পার্থক্য থাকায় সেটি নিয়ে ব্যঙ্গ করা হয়।
- সূত্র: বিবিসি