মিঠুনের ডাবল সেঞ্চুরি, মধ্যাঞ্চলের দারুণ দিন
১১২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। নামের পাশে আছে ১৩টি সেঞ্চুরি ও ২৯টি হাফ সেঞ্চুরি। কিন্তু দীর্ঘ এই পথচলায় ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ নেওয়া হয়নি মোহাম্মদ মিঠুনের। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথম রাউন্ডে আশা জাগিয়েও ছুঁতে পারেননি ডাবল। লঙ্গার ভার্সনের আসরটির পাঁচ দিনের ফাইনালে এসে অপূর্ণতা ঘুচিয়ে নিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করলেন তিনি।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে চলমান ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩০৬ বলে ২৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২০৬ রান করেন মিঠুন। তার অসাধারণ ডাবল সেঞ্চুরি ও অধিনায়ক শুভাগত হোমের ১১৬ রানরে সুবাদে প্রথম ইনিংসে ৪৩৮ রান তোলে মধ্যাঞ্চল, তাদের লিড ৫১ রানের। পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংসে করে ৩৮৭ রান।
৫১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে পূর্বাঞ্চল। আগের ইনিংসে দারুণ সূচনা পেলেও এই ইনিংসে শুরুতেই উইকেট হারায় দলটি। দলীয় ৬ রানে ফিরে যান ওপেনার এনামুল হক বিজয়। এরপর অবশ্য দলকে আর বিপদে পড়তে দেননি পিনাক ঘোষ ও অমিত হাসান। তাদের ব্যাটে ১১ ওভারে ১ উইকেটে ৪৩ রান তুলে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে পূর্বাঞ্চল। পিনাক ২২ ও অমিত ২০ রানে অপরাজিত আছেন।
প্রথম ইনিংসে লিড পেলেও মধ্যাঞ্চলের শুরুটা ছিল চরম অগোছালো। মিজানুর রহমানের জায়গায় সুযোগ পাওয়া আব্দুল মজিদ রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন। এরপর একে একে ফিরে যান সৌম্য সরকার, সালমান হোসেন ও তৈবুর রহমান।
মাত্র ১৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে মধ্যাঞ্চল তখন মাঝ দরিয়ায়, এমন সময়ে দলের হাল ধরেন মিঠুন ও শুভাগত। এই দুই ব্যাটসম্যান পঞ্চম উইকেটে ১৬৮ রানের জুটি গড়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেন। চলতি বিসিএলে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পাওয়া মিঠুন ১৫৫ বলে ১৬টি চার ও একটি ছক্কায় ১০২ ও শুভাগত ১৩৫ বলে ৭টি চারে ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
তৃতীয় দিন আরও অনেকটা পথ পাড়ি দেন এ দুজন, ২৮৩ রানের বিশাল জুটি। শুভাগতর বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ফেরার আগে ২১৯ বলে ১২টি চারে ১১৬ রান করে মধ্যাঞ্চলের অধিনায়ক। দলীয় ৩৭৪ রানে আউট হন মিঠুন। এরপর জাকির আলীর ৫৩ ও রবিউল হকের ৩৪ রানে ৪৩৮ রানে পৌঁছায় মধ্যাঞ্চল। পূর্বাঞ্চলের অধিনায়ক ফরহাদ রেজা ও কামরুল ইসলাম রাব্বি ৪টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন শেখ মেহেদি ও রিশাদ হোসেন।