স্ত্রী সুতপা একদিন তাকে ছেড়ে চলে যাবেন, সে ভয়ে থাকতেন ইরফান!
গতকাল (৭ জানুয়ারি) ছিল প্রয়াত বলিউড তারকা ইরফান খানের জন্মদিন। বেঁচে থাকলে এদিন তার বয়স হতো ৫৫। তবে ইরফান খান দিব্যি বেঁচেবর্তে রয়েছেন তার পরিবার এবং অসংখ্য অনুরাগীর স্মৃতিতে।
তার জন্মবার্ষিকীতে ইরফান-স্মৃতির বিরাট পুকুরে ডুব দিয়ে তাদের সম্পর্ক ও সংসারের নানান অজানা কথা তুলে আনলেন স্ত্রী সুতপা সিকদার। ইরফানের সঙ্গে তার সম্পর্কের নামকে 'বিবাহ' এর বদলে 'মিলন' বলতেই বেশি স্বচ্ছন্দ্য তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে সুতপা জানালেন, তাদের বিয়ের বছর কয়েক পরেও একটি ব্যাপারে প্রয়াত তারকার মনের কোণে নাকি বেশ ভয় ছিল। ইরফানের বিশ্বাস ছিল হয়ত তার প্রতি একদিন একঘেঁয়েমি এসে যাবে সুতপার। আর সেইদিন তিনি ইরফান ও তাদের সংসার ছেড়েছুঁড়ে উল্টো দিকে হাঁটা লাগাবেন।
সেই সাক্ষাৎকারে ইরফান-ঘরনি আরও জানান যে একজন আদর্শ স্বামী হওয়ার জন্য যে যে বৈশিষ্ট্যর প্রয়োজন, ইরফানের মধ্যে সেসবের কোনটিই তেমনভাবে ছিল না। অর্থাৎ 'হাজবেন্ড ম্যাটেরিয়াল' ছিলেন না 'মকবুল' এর অভিনেতা। সুতপার কথায়, 'ইরফান কোনোদিনও তেমনভাবে আমাকে স্পেশাল খাতির-যত্ন করেনি। যদিও মনে মনে ভালোমতোই জানতাম ওর কাছে আমি কতটা স্পেশাল। কারণ আমাকে ছাড়া ওর একমুহূর্ত চলত না। থাকতেই পারতেন না। ইরফানের তো ভয় ছিল যে একদিন ওর প্রতি একঘেঁয়েমি চলে আসবে আমার আর সেইদিন ওকে ছেড়ে আমি চলে যাব।' আরও জানালেন জীবনের শেষ দিনগুলোয় নিজের বদলে স্ত্রীকে নিয়েই সবচাইতে বেশি চিন্তা ছিল ইরফানের। সুতপাকে সবসময় সেই চিন্তার কথা জানাতেনও তিনি।
বক্তব্যের শেষে সুতপা যোগ করেন, 'কোনও বিয়েই গ্যারান্টি দেবে না যে বাকি জীবন সেই দুই মানুষ পরস্পরের সঙ্গেই সুখেশান্তিতে একসঙ্গে কাটাবেন। তাই আমার কাছে ব্যাপারটা দুই মানুষের 'মিলন' হওয়ার। ইরফান এবং আমার বিবাহিত জীবনের অনেক ফাঁকফোঁকর ছিল কিন্তু আমাদের জুটি দারুণ মজবুত ছিল। শেষপর্যন্ত সেই ব্যাপারটিই জয়ী হয়।'