শিশু উন্নয়নে ৩০৬ মিলিয়ন ডলার দেবে ইউনিসেফ
জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) বাংলাদেশে শিশুদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য আগামী পাঁচ বছরে ৩০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদান করবে।
গত রবিবারে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কার্যালয়ে বাংলাদেশ সরকার ও ইউনিসেফের মধ্যে 'বাংলাদেশ-ইউনিসেফ কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডকুমেন্ট (সিপিডি) ২০২২-২০২৬' নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, 'বাংলাদেশে ইউনিসেফের কাজের মূল বিষয় হিসাবে শিশু উন্নয়নের অঙ্গীকার বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। আশা করি নতুন চুক্তি অনুযায়ী শিশুদের স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা, শিশু সুরক্ষা, পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধির মতো বিষয়গুলিকে সমাধান করার মাধ্যমে বাংলাদেশের শিশুদের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা সম্ভব হবে'।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং ইউনিসেফের পক্ষে শেলডন ইয়েট নতুন এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইআরডি বিভাগ এবং ইউনিসেফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, নতুন সিপিডি চুক্তটি বাংলাদেশের শিশু ও নারীদের সার্বিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। তিনি ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশে ইউনিসেফের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা স্বীকার করেন।
আগামী পাঁচ বছরে নতুন সিপিডির অধীনে ২০২২ থেকে ২০২৬ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
আগের 'সিপিডি ২০১৭-২০২০' শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরে। তবে, করোনার কারণে এটি ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল৷
সিপিডি ২০২২-২০২৬ এর অন্তর্ভুক্ত ছয়টি বিষয়গুলোঃ স্বাস্থ্য; পুষ্টি; শিক্ষা শিশু সুরক্ষা; পানি, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ); এবং সামাজিক সুরক্ষা। নতুন সিপিডি চুক্তিটি করোনা মহামারি থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধারের বিষয়েও গুরুত্ব প্রদান করবে।