আক্রান্ত হওয়ার আগেই অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
রোগ হওয়ার আগে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, শহরের তুলনায় গ্রামে এ রোগে আক্রান্তের হার বেশি।
তিনি বলেন, "অসংক্রামক রোগ যেহেতু সংক্রামক রোগের মত চমক সৃষ্টি করতে পারে না সেজন্য রোগীরা অবহেলিত থেকেই যায়।"
এখন থেকে এই অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সরকারেরও চেষ্টা করা উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শুক্রবার প্রথম জাতীয় অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্মেলনের সমাপনী দিনে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামসহ ৩০টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ প্রভৃতিকে নীরব ঘাতক আখ্যা দিয়ে সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, এসব রোগ প্রতিরোধ করা আবশ্যক। অসংক্রামক রোগ শহরের তুলনায় গ্রামীণ অঞ্চলে বেশি। বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে ডায়রিয়া-আমাশয়ের প্রকোপ বেশি।
জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলার সক্ষমতা আমাদের দেশে এখনো কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, "অন্যান্য দেশে জরুরী কোনো আঘাত আসলে তা রুখতে কোপিং ক্যাপাসিটি অনেক ভালো। আমাদের সেই সক্ষমতা বাড়াতে হবে।"
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামীণ অর্থনীতির পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে কাজ করছেন বলে উল্লেখ করেন এম এ মান্নান।
তবে কমিউনিটি ক্লিনিকে আরো বিনিয়োগ বাড়াতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, "গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে কমিউনিট ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এখান থেকে বিনামূল্যে ৩২ ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়, যা বড় ব্যাপার।"
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ ই মাহবুব। বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এমএ ফায়েজ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দিন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এবিএম মাকসুদুল আলম, গ্লাসগো ক্যালেডনিয়ান ইউনিভার্সিটির ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. জেমস মিলার, ওজিবিএসএর সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম প্রমুখ।