বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে সেনাসদস্যসহ ৪ জন নিহত
বান্দরবানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস-সন্তু লারমা) তিন সদস্য এবং একজন সেনা সৈনিক।
বুধবার রাত ১০টা ২০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে বলে এ বিষয়ে জারি করা সরকারি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করা হয়েছে।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সাথে কথা বলার সময় রুমা থানার ডিউটি অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, "সেনাবাহিনীর একজন ওয়ারেন্ট অফিসার, হাবিবুর রহমান সশস্ত্র পিসিজেএসএস-সন্তু লারমা সদস্যদের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান।
"তার মাথায় গুলি করা হয়েছে," বলেন তিনি।
"ফিরোজ আলম নামে আরেক সেনা সদস্যও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত," যোগ করেন পুলিশ কর্মকর্তা। আহত সেনা সদস্যকে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেএসএস সন্ত্রাসীদের একটি দল রুমা উপজেলার বথিপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি করবে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাইং খিয়াং লেক আর্মি ক্যাম্প থেকে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবের নেতৃত্বে একটি টহল দল বথি পাড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
রাত আনুমানিক সাড়ে দশটায় টহল দলটি ওই এলাকায় পৌঁছালে পাড়ার নিকটস্থ একটি জুম ঘর থেকে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলি বর্ষণ করে। জবাবে সেনা টহল দলের পাল্টা হামলায় সন্তু লারমার জেএসএস মূল দলের তিনজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
এ সময় পলায়নরত সন্ত্রাসীদের এলোপাথারি গুলিতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে টহল কমান্ডার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
উক্ত অভিযানে সেনা টহল দল কর্তৃক সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ১ টি এসএমজি, ২৪৯ রাউন্ড তাজা গুলি, ৩ টি এম্যোনিশন ম্যাগাজিন, ৩ টি গাদা বন্দুক, গাদা বন্দুকের ৫ রাউন্ড গুলি, ৪ জোড়া ইউনিফর্ম এবং চাঁদাবাজিদের নগদ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা জব্দ করা হয়।
বর্তমানে সেনা টহল দল উক্ত এলাকায় ব্যাপক তল্লাশী জারি রেখেছে এবং স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষা করতে গিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৭১ জন সেনা কর্মকর্তা প্রাণ হারিয়েছেন।