ভবনে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে ১০% কর মওকুফ
ভবনে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে ১০ শতাংশ হোল্ডিং কর মওকুফ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার দুপুরে সোসাইটি অব এক্সপার্টস অন এনভার্নমেন্ট ডেভলপমেন্ট (এসইইড) আয়োজিত 'বায়োডায়ভার্সিটিস বাই ২০৩০' শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ঢাকা উত্তরের মেয়র বলেন, "দিন দিন নতুন নতুন প্রযুক্তি আর পদ্ধতি আসছে কিন্তু আমরা আমাদের পরিবেশকে উপেক্ষা করে উন্নয়ন করতে চাচ্ছি। আগে এক বাসা অন্য বাসার সাথে প্রতিযোগিতা করতো কে কতো গাছ লাগাতে পারে কিন্তু এখন আর সেটি দেখা যায় না। যে ভবনে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং এর ব্যবস্থা থাকবে তাদের ১০% কর মওকুফ করে দিবো। আমরা সিটি করপোরেশন থেকে নতুন যেসব স্থানে ফুটপাত করবো সেখানে আমরা রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং এর ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।"
তিনি আরও বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে সকল খালের সীমানা নির্ধারণ করে ফেলবো। শুধু সীমানা নির্ধারণই নয়, আমরা খালগুলোতে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে এনে খালের পাশে গাছ লাগাবো। ওয়াকওয়ে তৈরি করে দিবো।
মেয়র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শহরটি তো দখল আর দূষণ হয়ে গেছে। যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই দখল আর দূষণ। আমি বনানী, গুলশান, বারিধারা লেকে মৎস দিবসে মাছ ছাড়তে গিয়েছিলাম কিন্তু পারিনি। আমরা যদি সঠিকভাবে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ঠিক করতে পারতাম তবে লেকগুলোতে মশার চাষ হতো না, মাছের চাষ হতো।
"যেখানে সরকার বলছে কোনো জলাশয় ভরাট করা যাবে না, সেখানে রেল মন্ত্রণালয় কুড়িলের ওখানে একটি ফাইভ স্টার হোটেলের অনুমোদন দিয়ে দিলো। আমি ঐ স্থানে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। আমাদের ক্লাইমেট অ্যাকশন প্লান নিয়ে কাজ করতে হবে। হাউজিং কোম্পানিগুলো বেইমানি করেছে। যখন ফ্ল্যাটের দাম বেড়ে গিয়েছে তখন মাঠের জমিও বিক্রি করে দিয়েছে। হাউজিংগুলো অবশ্যই তাদের খেলার মাঠ, এসটিএস বিক্রি করে দিয়েছে। তারা কেউই কথা রাখেনি। সবাই পয়সা বাড়ানো চেষ্টা করেছে", বলেন আতিকুল ইসলাম।