কণ্ঠ পরিবর্তন করে বিভিন্ন পরিচয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া আবু হোরায়রা গ্রেপ্তার
কণ্ঠস্বর পরিবর্তন করে মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পরিচয়ে ফোন করে অর্থ হাতিয়ে নেন নাটোরের আবু হোরায়রা (২৫)।
এভাবে রাজনৈতিক পদ, চাকরী, পোষ্টিং পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বের হয়ে আবারও এই কাজে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
সম্প্রতি ঢাকা মহনগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) তাকে নাটোরের সিংড়া থেকে গ্রেপ্তার করে। সাথে জব্দ করা হয়েছে তার ব্যবহার করা ভূয়া নিবন্ধিত সিম কার্ড ও মোবাইল ফোন।
ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ নাজমুল হক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আবু হোরায়রা বিভিন্ন পরিচয়ে ফোন করে ত্রাণের জন্য কিংবা পদ-পদবীর প্রলোভন দেখিয়ে বহু মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারণার শিকার অধিকাংশই লোকলজ্জার ভয়ে মামলা করেন নি। আমরা তার বিরুদ্ধে একই ধরনের অপরাধের বেশকিছু অভিযোগ পেয়েছি।"
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি করোনা রোগীদের সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী একটি ট্রাষ্ট গঠন করেছেন- এমন কথা বলে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন আবু হোরায়রা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা পরিচয় দিয়ে এ কথা বলার পর অধিকাংশরাই কোনোকিছু যাচাই না করে টাকা পাঠিয়েছেন।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী টিবিএসকে বলেন, "আমাকে ফোন করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে ত্রাণের জন্য ৫০ হাজার টাকা চেয়েছে। আমি বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু প্রতারিত হওয়ার পর বিষয়টি বুঝতে পেরেছি।"
এছাড়া গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বহু মনোনয়ন প্রত্যাশীর কাছ থেকে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।
অভিযুক্ত আবু হোরায়রা এইচএসসি পাশ করেছেন বলে জানা গেছে।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ বেতারের নাটোর অফিসে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন।
বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকায় রাজনৈতিক পদ ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে তার স্পষ্ট ধারণা ছিলো। ফলে তার এই প্রতারণামূলক কাজে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরকেই টার্গেট করেন তিনি।