ইউক্রেনে পশ্চিমাদের অস্ত্র সরবরাহকে ‘টার্গেট’ করতে পারে রাশিয়া
ইউক্রেনে পশ্চিমাবিশ্বের অস্ত্র সরবরাহকে 'টার্গেট' করতে পারে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। শনিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক বক্তৃতায় দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, "নির্দিষ্ট কিছু দেশ থেকে অস্ত্রের সরবরাহে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করছি। এটি কেবল একটি বিপজ্জনক পদক্ষেপই নয় বরং এমন একটি পদক্ষেপ, যা অস্ত্রের এই বহরগুলোকে রাশিয়ার বৈধ টার্গেটে পরিণত করে।"
তিনি বলেন, ম্যান-পোর্টেবল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল সিস্টেমসহ আরও অনেক অস্ত্রের ব্যাপারেই মস্কো তাদেরকে সতর্ক করছে।
কিন্তু মস্কোর সতর্কবার্তাকে ওয়াশিংটন গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি, এমন অভিযোগ করে রিয়াবকভ আরও বলেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা প্রক্রিয়া চালাচ্ছে না।"
গেল মাসের ২৪ ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করতে সেদেশে 'বিশেষ সামরিক অভিযানের' ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত একাধিক আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে মস্কো।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বারবার পশ্চিমা শক্তিকে তার দেশে আরও সামরিক সহায়তা পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে আসছেন। রুশ বাহিনী ইউক্রেন দখল করে নিলে তা পুরো ইউরোপের জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
তবে জেলেনস্কির বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো ইউক্রেনে নো-ফ্লাই জোন বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এর পরিবর্তে তারা দেশটিতে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) মার্কিন সিনেট ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার জন্য সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন দিয়েছে বলে জানা গছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নও ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অস্ত্র ক্রয়ে ইউক্রেনকে সাড়ে ৪০০ মিলিয়ন ইউরো সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে। একই পথে হাঁটছে জার্মানি ও নরওয়ে। তারাও ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ ও অস্ত্র ক্রয়ে অর্থায়ন করার ঘোষণা দিয়েছে।
- সূত্র: আলজাজিরা