কৌশল ও ঝুঁকির খেলায় সাকিবের জয়
৬৪ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭৭ রান। বাংলাদেশের ইনিংসের সর্বোচ্চ, ম্যাচ জেতানো ইনিংস। সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে সাকিব আল হাসানকে দেখে বোঝার উপায় নেই, কদিন আগে তিনিই সফরে যেতে চাননি। মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত জানানো বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারই ঐতিহাসিক জয়ে ব্যাট হাতে রাখেন সবচেয়ে বড় অবদান।
আগে ব্যাটিং করে ৩১৪ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ার পথে কাণ্ডারি ছিলেন সাকিব। দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পর ইয়াসির আলী রাব্বির সঙ্গে ১১৫ রানের জুটি বাধেন তিনি। চাপের মুখেও মারকুটে মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। স্কোরকার্ডে বড় রান যোগ করতে ঝুঁকিও নিয়েছেন সাকিব, আর তাতে তিনি সফল।
ম্যাচের পর সাকিব বলেন, 'আমি ভাবছিলাম ওই সময়ই দ্রুত রান করা উচিত। তা না হলে আমরা ২৬০-২৭০ রানের বেশি করতে পারতাম না। আমরা যে ছন্দটা পাই ৩০ ওভারের সময়, ওটাই ম্যাচের চেহারা পাল্টে দেয়। আমরা জানতাম যে ডেথ ওভারে রাবাদা তিন-চার ওভার বোলিং করবে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম যেন তারা রাবাদাকে আগে বোলিং করাতে বাধ্য হয়। সে জন্যই আমাদের ঝুঁকি নিতে হয়েছে। আর তাতে আমরা সফল হয়েছি।'
সাকিব-রাব্বির ১১৫ রানের জুটিতেই দক্ষিণ আফ্রিকাতে প্রথমবারের মতো ৩০০ ছাড়ানো ইনিংস পায় বাংলাদেশ। মাত্র চতুর্থ ওয়ানডে খেলতে নামা ইয়াসিরের প্রশংসা করে সাকিব বলেন, 'ইয়াসির খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। ওর সঙ্গে আমার জুটিটা ভালো ছিল। ইয়াসিরকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। কারণ সে তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ ম্যাচ খেলছে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে। এটা তার জন্য সহজ ছিল না।'
উইকেট যে ব্যাটিংয়ের জন্য তুলনামূলক সহজ ছিল, সেটা বুঝতে সময় লাগেনি সাকিবের। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারের ভাষায়, 'আমি ৭-৮ বল খেলার পর বুঝতে পারি, উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো। আমাদের ৩০০'র কাছাকাছি রান করতেই হতো। আমাদের শুরুটাও ভালো হয়েছে। লিটন-তামিম ভালো শুরু এনে দেয়। ছন্দটা ধরে রাখা উচিত ছিল। কারণ নতুন বলের উজ্জ্বলতা চলে যাওয়ার পর রান করা সহজ মনে হচ্ছিল। সেই সুবিধাটাই নিতে চেষ্টা করেছি। ভাগ্য ভালো আজ সেটা কাজে লেগেছে।'