আফিফ-মিরাজে লড়ছে বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩৪ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ঘোর সঙ্কটে পড়ে যায় যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। ষষ্ঠ উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়ে চাপ কাটিয়ে তোলেন তারা। দলকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান ৪৪ বলে ৩টি চারে ২৫ রান করেন।
এরপর আফিফের সঙ্গে জুটি বেধেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এ দুজনের ব্যাটে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ৪০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৪৬ রান। এ দুজনের জুটি ইতোমধ্যে ৫০ ছাড়িয়েছে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া আফিফ ৫৭ ও মিরাজ ২১ রানে ব্যাটিং করছেন।
৩৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ
ভেন্যু বদলাতেই বদলে গেল বাস্তবতা। সেঞ্চুরিয়নে হেসেখেলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেওয়া বাংলাদেশ জোহানেসবার্গে ব্যাটিং করতে নেমে রীতিমতো ধুঁকছে। প্রোটিয়া পেসারদের বাউন্সারের কবলে পড়ে দিক হারানো বাংলাদেশ ৩৪ রানেই ৫ উইকেট খুঁইয়েছে।
খাদের কিনারে চলে যাওয়া দলকে পথ দেখানোর চেষ্টা করছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। ১৮ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ৫৭ রান তুলেছে সফরকারীরা। মাহমুদউল্লাহ ১২ বলে ২ ও আফিফ ২০ বলে ১৬ রানে ব্যাটিং করছেন।
প্রথম ওয়ানডেতে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন তামিম-লিটন। সাবধানী শুরুর পর দলের স্কোরকার্ডে ৯৫ রান যোগ করেন তারা। এদিনও দেখেশুনে শুরু করেন দুজন। কিন্তু কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডিদের দারুণ বোলিংয়ের মুখে সুবিধা করতে পারেননি তারা।
তামিমকে উইকেটে এলোমেলো দেখিয়েছে, পথটা তাই দীর্ঘ হয়নি তার। তৃতীয় ওভারেই ফিরতে হয় বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ককে। এনগিডির লাফিয়ে ওঠা বলে ব্যাট চালিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন ১ রান করা তামিম। সহজ ক্যাচটি তালুবন্দি করতে সমস্যা হয়নি কেশব মহারাজের।
সাকিব আল হাসানও এদিন বুঝে ওঠার আগেই সাজঘরে ফেরেন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে রাবাদার করা পায়ে ওপরের একটি ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে গিয়ে কভারে ক্যাচ দেন তিনি। ৬ বল খেললেও রানের খাতা খোলা হয়নি আগের ম্যাচে ৭৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলা বাংলাদেশ অলরাউন্ডারের।
লিটন দাসকে ব্যতিক্রম মনে হচ্ছিল। যদিও ডানহাতি এই ওপেনারও পারেননি বেশি সময় উইকেটে টিকতে। ২১ বলে ৩টি চারে ১৬ রান করা লিটন রাবাদার বাউন্সারে ব্যাট ছোঁয়াতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। চাপ কাটিয়ে উঠতে ধীর-স্থির মেজাজে ব্যাট চালানো মুশফিকুর রহিমও ব্যর্থ। ৩১ বলে ১২ রান করে ওয়েন পার্নেলের এলবিডব্লিউর শিকার হন তিনি।
কঠিন অবস্থায় ইয়াসির আলী রাব্বিও চেষ্টা করেছেন উইকেটে থিতু হয়ে দলকে ছন্দে ফেরাতে। কিন্তু ১৪ বলে ২ রান করে রাবাদার তৃতীয় শিকারে পরিণত হন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। দিশেহারা হয়ে ওঠা দলকে ঠিক পথে ফেরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ-আফিফ।