গ্রামীণ অর্থনীতিতে মুঠোফোন-জাদু
আগে থেকেই ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতা ছিলেন ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারোবাড়ি ইউনিয়নের বিধবা সুফিয়া খাতুন। সেই সূত্রে ১৯৯০-এর দশকের শেষ দিকে নতুন চালু হওয়া গ্রামীণফোনের 'পল্লী ফোন' প্যাকেজের আওতায় সংযোগসহ একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট পান তিনি। ওই সময় তার সঙ্গে একই প্যাকেজের আওতায় সংযোগসহ হ্যান্ডসেট পান আরও প্রায় ২ লাখ মানুষ।
১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ যাত্রা শুরু করা গ্রামীণফোনের সংযোগসহ মোবাইল হ্যান্ডসেট পাওয়ার পর শুরু হয় সুফিয়ার নতুন যাত্রা। এর মাধ্যমে কয়েক বছরেই বদলে যায় তার পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা।
২০০০ সালের ১ জানুয়ারি আঠারোবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে একটি চেয়ার আর টেবিল নিয়ে 'মা টেলিকম'-এর যাত্রা শুরু করেন সুফিয়ার বড় ছেলে ১৬ বছরের উজ্জল হোসেন। উজ্জলের দোকান থেকে অর্থের বিনিময়ে এলাকার মানুষ দেশে-বিদেশে অবস্থানরত স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে পারত। এর সুবাদে সুফিয়ার পরিবারে সৃষ্টি হয় স্থায়ী আয়ের উৎস।
অ্যান্টেনা টানিয়ে টেলিকম ব্যবসা শুরু করেছিলেন উজ্জল। আঠারোবাড়ি রেল স্টেশনের পাশেই পরে বসেছে গ্রামীণফোনের টাওয়ার। মানুষের হাতে বাড়তে থাকে মোবাইল ফোনের সংখ্যা। ২০০৫ সালে উজ্জল একটি দোকান ভাড়া নিয়ে শুরু করেন মোবাইল সেট আর রিচার্জ কার্ডের ব্যবসা।
উজ্জলের বয়স এখন প্রায় ৪০ বছর। মোবাইল সেবায় প্রায় ১ কোটি টাকার ব্যবসা তার। তিন ভাইসহ এ ব্যবসায় কর্মসংস্থান হয়েছে ১০ জনের। বাজারে দোকান কিনেছেন, করেছেন তিনতলা বাড়ি। কিনেছেন কিছু ধানী জমিও। তাদের সন্তানেরা পড়াশোনা করছে।
এ সবকিছুর জন্য মুঠোফোন সেবার বিস্তারকে ধন্যবাদ জানান বর্তমানে প্রায় আশি বছর বয়সি সুফিয়া খাতুন।
মোবাইল টেলিকম সেবা গত ২৫ বছরে সুফিয়া ও তার পরিবারের মতো দেশের গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বদলে দিয়েছে। ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, রাইড শেয়ারিং সেবা, মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদির সূচনার মাধ্যমে গত দশকে মোবাইল ইন্টারনেটের প্রসার বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে গ্রামাঞ্চলের দৃশ্যপটে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, গত অর্থবছরে দেশের মোবাইল অপারেটরগুলো ৩৭ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের সেবা উৎপাদন করেছে। জিডিপিতে মোবাইল অপারেটরগুলোর অবদান ০.৮৯ শতাংশ।
মোবাইল সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খাতগুলোর হিসাব যোগ করলে জিডিপিতে অবদান ৫.৩ শতাংশে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছে গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন (জিএসএমএ)।
মার্চে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জিএসএমএ জানিয়েছে, মোবাইল এখনও ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রধান মাধ্যম। আর বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ, নারী ও গ্রামীণ এলাকার মানুষদের কাছে পৌঁছানোর প্রধান প্রযুক্তিও এখনও মোবাইল ফোনই।
জিএসএমএর তথ্যানুসারে, ২০১৯ সালে দেশের অর্থনীতিতে এই খাতের অবদান ছিল ১৬ বিলিয়ন ডলার।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ইনস্টিটিউটের (এডিবিআই) এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ শতাংশ বাড়লে বাংলাদেশের জিডিপি বাড়বে ০.১১ শতাংশ ।
বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে মোবাইল অপারেটরগুলো জিডিপিতে ৪ হাজার ১৭ কোটি টাকা যোগ করেcছিল। এ হিসাবে গত ১৫ বছরে জিডিপিতে মোবাইল অপারেটরগুলোর অবদান বেড়েছে সাড়ে ৬ গুণ।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক মনজুর হোসেন ও বিশ্বব্যাংকের সাবেক গবেষক হুসেইন সামাদের গবেষণা বলছে, মোবাইল ফোনের ব্যবহার পল্লী অঞ্চলের মানুষের আয় গড়ে ১০ শতাংশ বাড়াচ্ছে।
এদিকে গ্লোবাল কানেক্টিভিটি ইনডেক্সের (জিসিআই) তথ্য বলছে, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে দ্রুততম সময়ে ডিজিটাল অর্থনীতি গ্রহণ এবং উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের ক্ষেত্রে ইউক্রেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আলজেরিয়ার সঙ্গে শীর্ষ চার অর্থনীতির মধ্যে একটি ছিল বাংলাদেশ।
ব্যবসা ও কৃষি
সংশ্লিষ্টদের মতে, ইন্টারনেটের পাশাপাশি মোবাইল ফোন ব্যবসা ও কৃষিকে এত সহজ করে তুলেছে যা এক দশক আগেও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে অকল্পনীয় ছিল।
নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানা সদরে লুঙ্গি ও শাড়ি কাপড়ের সবচেয়ে বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বণিক বস্ত্রালয়। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী তাপস বণিক জানান, তার প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ কাপড় আসে নরসিংদীর বাবুরহাট, কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর, নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও টাঙ্গাইল থেকে ।
তিনি বলেন, 'একসময় দোকানের মালিক হিসেবে সশরীরে উপস্থিত হয়ে পণ্য পছন্দ করে নগদ অর্থ পরিশোধ করে কেনাকাটা করতে হতো। এখন ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে মহাজনের স্টকে থাকা সব পণ্যের ধারণা পাওয়া যায়।'
একই সময়ে মোবাইলে মূল্য পরিশোধের পরিষেবা চালু হয়েছে। প্রায় সবগুলো ব্যাংকের অনলাইন লেনেদেন চালু হয়েছে। পণ্য অর্ডার করা ও মূল্য পরিশোধে যাতায়াতের প্রয়োজনীয়তা শূন্যে নেমে আসায় মাসে অন্তত ১৫ হাজার টাকার সাশ্রয় হচ্ছে বলে জানান তিনি।
রংপুরের মিঠাপুকুর থানার দুর্গাপুর গ্রামের চাষী আকতারুল ইসলাম প্রায় ২৫০ শতক জমিতে সবজি চাষ করেন। তিনি জানান, 'ঢাকায় কোন সবজির দাম কত, তা আমরা গ্রামে থেকেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারছি। যার ফলে আমরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছি।'
প্রায় এক একর জমিতে বালাইনাশক ও জৈবসার ছাড়াই অর্গানিক পদ্ধতিতে সবজি চাষ করেন দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার সুলতান মিয়া। তিনি জানান, রাজধানীর বেশ কয়েকটি অর্গানিক সবজি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সবজি সংগ্রহ করছে। তারা সবজির মূল্যও পাঠিয়ে দিচ্ছেন মোবাইলভিত্তিক আর্থিক পরিষেবার মাধ্যমেই।
নেত্রকোনার কেন্দুয়ার কাজল মিয়া বেশ কয়েকটি পুকুর ইজারা নিয়ে কই, শিং ও পাঙাস মাছের চাষ করছেন প্রায় দুই দশক ধরে। ইউটিউবের ভিডিয়ো দেখেই তিনি মাছের ফাঙ্গাস, ছত্রাক ও অন্যান্য রোগবালাই সম্পর্কে জানতে পারছেন। 'মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে ওষুধও পাচ্ছি দ্রুত। এর ফলে মাছ চাষে ঝুঁকির পরিমাণ কমেছে,' বলেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই কৃষি হটলাইন সেবা চালু করা হয়েছে। নিজেদের ফসল ও প্রাণিজ সম্পদের সমস্যা মোকাবেলায় হটলাইন থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ধারণা নিচ্ছেন কৃষক ও খামারীরা।
ফ্রিল্যান্সিং ও রাইড শেয়ারিংয়ে বিপ্লব
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার আছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৫ লাখ ফ্রিল্যান্সার নিয়মিত কাজ করছেন।
ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার ধরগাঁও গ্রামের আতাউর রহমান স্নাতক শেষে কোথাও চাকরি না পাচ্ছিলেন না। তখন তিনি একটি আইটি ফার্মে প্রশিক্ষণ শেষে ময়মনসিংহ জেলা শহরে অবস্থান করে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতে থাকেন। মোবাইল ফোনের ফোর-জি সেবা চালু হওয়ার পর তিনি নিজ গ্রামে ফিরে যান। নিজে কাজ করার পাশাপাশি এলাকার তরুণদেরও আউটসোর্সিংয়ের কাজে যুক্ত করেন তিনি।
আতাউর দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, মাইক্রোওয়ার্কারস ডটকম নামে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করে প্রতি মাসে তিনি প্রায় ১৫০ ডলার আয় করেন। তাছাড়া টিমের সঙ্গে বায়ারদের কাজ করে মাসে কয়েক লাখ টাকাও আয় হয় তার। মাসে লাখ টাকার বেশি আয় করেন, এমন একাধিক মেম্বার তার টিমে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই ফ্রিল্যান্সার।
কম খরচ, কম ঝুঁকি ও কম সময়ের সুবিধা পেয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত অর্থনীতির অনেক বড় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল ও উদীয়মান ডিজিটাল অর্থনীতিকে আইটি আউটসোর্সিংয়ের কাজ দিয়ে আসছে।
২০১৬ সালে উবার চালু হওয়ার পর রাইড শেয়ারিং সার্ভিস দেশের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল খাতে পরিণত হয়েছে। ২০১৯ সাল নাগাদ এ খাতে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৫৭ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস।
এক বছরে রাইড শেয়ারিং খাতে উৎপাদিত সেবার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকায়।
ই-কমার্স সেবা
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) তথ্যমতে, বাংলাদেশে প্রায় ২ হাজার ৫০০ ই-কমার্স সাইট ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য বিক্রি করছে। ই-কমার্স আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের ৪৬তম বৃহত্তম দেশ।
এছাড়াও ফেসবুক হয়ে উঠেছে অনলাইন ব্যবসার অপরিহার্য প্ল্যাটফর্ম। ফেসবুকের মাধ্যমে ৩ লাখের বেশি বাংলাদেশি স্টোর কাজ করছে।
ই-ক্যাবের তথ্য অনুসারে, মহামারিকালে ২০২০ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে অনলাইন বিক্রি বেড়েছে ৭০- ৮০ শতাংশ। যার মাধ্যমে দেশের ই-কমার্স শিল্পে রীতিমতো বিপ্লব ঘটে গেছে।
ব্যবসায়িক ডেটা প্ল্যাটফর্ম স্ট্যাটিস্টার মতে, ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ই-কমার্স বাজারের আকার হবে ৩ বিলিয়ন ডলার।
ব্যবসা পুনরুদ্ধার ও কর্মসংস্থান
তবে ২০২০ সালে করোনার প্রথম ধাক্কায় দেশের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এমএসএমই) উদ্যোগগুলোর উৎপাদন ৫৭ শতাংশ কমে আসে। বছরের শেষের দিকে করোনাপূর্ব অবস্থায় না ফিরলেও ৭৭ শতাংশ উৎপাদন পুনরুদ্ধার হয় এ খাতে। তবে এ সময়ে এমএসএমই খাতে ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিক্রয়ের ৮৮ শতাংশই পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয় বলে দাবি করছে এডিবিআইয়ের গবেষণা।
মোবাইলে আর্থিক সেবা(এমএফএস) ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও জানিয়েছে যে মহামারিকালে তাদের বিক্রি ৬০ শতাংশ বেড়েছে। যা মহামারিকালে ব্যবসা চালানোতে এমএফএসের ইতিবাচক ভূমিকার দিকে ইঙ্গিত করে।
এডিবিআইয়ের সমীক্ষায় মোবাইল ফোনের ব্যবহারকে ডিজিটাইজেশনের অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে বলা হয়েছে, এটি শ্রম অংশগ্রহণের হার ও কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বাড়িয়েছে।
এতে বলা হয়, ডিজিটালাইজেশন শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গতি আনতে দেশের শিল্প ও সেবা খাতকে সহায়তার জন্য প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও প্রক্রিয়া রি-ইঞ্জিনিয়ারিংকেই চালিত করছে না, বরং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যাপক পরিসরে কর্মসংস্থান সৃষ্টির চালক হিসেবেও কাজ করছে।
তথ্য বলছে, মোবাইল পরিষেবায় গ্রামাঞ্চলে তৈরি হয়েছে ব্যাপক কর্মসংস্থান। গড়ে উঠেছে খাতভিত্তিক শিল্প। পণ্য তৈরি ও বিপণনের কাজে নিযুক্ত হয়েছে বিপুল সংখ্যক নারী ও পুরুষ।
দেশে বর্তমানে বিদেশি ব্র্যান্ডসহ ১৪টি কারখানায় ফোন উৎপাদন করা হচ্ছে। দেশীয় কারখানায় উৎপাদিত মোবাইল হ্যান্ডসেট দিয়েই দেশের মোট চাহিদার শতকরা ৬৩ ভাগ পূরণ করার পাশাপাশি প্রায় ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
হ্যান্ডসেট মেরামত খাতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ কাজ করছেন বলে এ খাতে নিয়োজিতদের সংগঠন বাংলাদেশ সেলফোন রিপেয়ার টেকনিশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন (বিসিপিআরটিএ) জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত ১৩টি ব্যাংক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আর্থিক সেবা দিচ্ছে। এ খাতের এজেন্টসংখ্যা ১১.২ লাখ।
কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি, অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান ও বিভিন্ন দুর্যোগে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগদ সহায়তা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে মোবাইল ফোননির্ভর আর্থিক পরিষেবা।
গত বছর করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্রদের নগদ ঈদ সহায়তা বাবদ ৩৬ লাখ দরিদ্র পরিবারের কাছে আড়াই হাজার টাকা করে পাঠানো হয়েছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। এছাড়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে উপবৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাতে ভোগান্তি কমাতে বেশ কয়েক বছর ধরেই মোবাইল পরিষেবা ব্যবহার করা হচ্ছে।