ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ, ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত অধিবেশন
সোমবার (২৮ মার্চ) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা শেহবাজ শরিফ।
দুই দিনের কর্মাবকাশের পর শুরু হওয়া বহুল প্রত্যাশিত এই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি।
অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ২৬ দফা কর্মসূচির অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করার অনুমতি চেয়ে বিরোধীদলীয় নেতা শেহবাজ শরিফ অনুরোধ করেন। ডেপুটি স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "আমি অনুরোধ করব যে, আপনি (সুরি) এই আইটেমটি অধিবেশনে উপস্থাপন করার অনুমতি দিন ... যেহেতু রেজ্যুলেশনটি ইতোমধ্যেই কর্মসূচির অংশ হয়েছে।"
পরবর্তীতে, রেজ্যুলেশনটি পেশ করা উচিত কিনা তা নিশ্চিত করতে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। অ্যাসেম্বলির নিয়ম অনুযায়ী, পার্লামেন্টের মোট সদস্যদের কমপক্ষে ২০ শতাংশ, অর্থাৎ ৬৮ জন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভোট দিলে, তবেই অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা যাবে।
ভোট গণনার পর ডেপুটি স্পিকার ঘোষণা করেন, ১৬১ জন সংসদ সদস্য প্রস্তাবটি পেশ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ফলে অনাস্থা প্রস্তাব উপস্থাপনের অনুমতি দেন তিনি।
অনুমতি পাওয়ার পর, বিরোধী দলীয় নেতা সংসদে প্রস্তাবটি পড়ে শোনান।
তিনি বলেন, "এই রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে ইসলামিক রিপাবলিক অফ পাকিস্তানের সংবিধানের ৯৫ নং অনুচ্ছেদের ১ নং ধারা অনুযায়ী, এই সংসদ সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা প্রধানমন্ত্রী জনাব ইমরান খান নিয়াজির ওপর কোনো আস্থা রাখেন না এবং এর ফলস্বরূপ তিনি ধারার অধীনে পদত্যাগ করবেন।"
প্রস্তাব উত্থাপনের পর ডেপুটি স্পিকার জানান, আগামী ৩১ মার্চ থেকে রেজ্যুলেশনটির ওপর বিতর্ক শুরু হবে।
তিনি বলেন, "৩১শে মার্চ বিকেল ৪টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করা হল।"
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ইমরানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধী দলগুলো। বিরোধীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, সামরিক বাহিনীর সমর্থনে এখনও পর্যন্ত রাষ্ট্রক্ষমতায় টিকে আছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তিনি। সেই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতেই আজ অধিবেশনে ভোটাভুটির মাধ্যমে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় তার বিরুদ্ধে।
- সূত্র: ডন