এবার মুখোমুখি শান্তি আলোচনায় ইউক্রেন-রাশিয়া
গত তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রথম মুখোমুখি আলোচনার জন্য তুরস্কের ইস্তাম্বুলে মিলিত হয়েছে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার আলোচকরা।
ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল বলছে, নিজেদের ভূখণ্ড বা সার্বভৌমত্বের সাথে কোনোরকম আপস না করে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোই তাদের প্রধান লক্ষ্য।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান উভয় পক্ষের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, 'এই ট্র্যাজেডি বন্ধ করা' একমাত্র তাদের পক্ষেই সম্ভব।
ইউক্রেনীয় টেলিভিশন সূত্রে জানা গেছে, 'শীতল স্বাগতবার্তার' মধ্য দিয়ে আলোচনার সূচনা হয়'; প্রতিনিধিদের কেউ নিজেদের মধ্যে এমনকি হ্যান্ডশেকও করেননি।
ইউক্রেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক কোনো অগ্রগতি হবে, এমন আশা রাখে না। কিন্তু অবরুদ্ধ শহরগুলোতে আটকে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের উপর যে ভয়াবহ দুর্ভোগ নেমে এসেছে, তাতে এভাবে মুখোমুখি আলোচনার পুনঃসূচনা যুদ্ধবিরতির পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধে ইউরোপীয় রাষ্ট্রটির ৩৮ লাখেরও বেশি মানুষ দেশ ছেড়েছে, হাজারো মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করার জন্য রাশিয়ার অর্থনীতির ওপরও নেমে এসেছে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার খড়গহস্ত।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহরে পরিণত হয়েছে মারিউপোল। শহরটির মেয়রের পরিসংখ্যান অনুসারে, ক্রমাগত চলে আসা সংঘাতে এখন পর্যন্ত এ শহরে পাঁচ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছে, যাদের মধ্যে ২১০ শিশুও রয়েছে। যদিও এ পরিসংখ্যান কতখানি সঠিক তা যাচাই করা সম্ভব হয় নি।
তাছাড়া সারভাইভারদের অনেকে চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছেন, যেখানে সেখানে নিহতদের মরদেহ সমাহিত করা হচ্ছে এবং নারীদের বেসমেন্টে সন্তান প্রসবের মতো যন্ত্রণাদায়ক গল্পের কথাও উঠে আসছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা তুরস্কের আলোচনা সভা প্রসঙ্গে বলেছেন, "আমরা আমাদের মানুষ, ভূমি বা সার্বভৌমত্ব বিকোতে দেব না।"
বিস্তারিত আসছে
- সূত্র- রয়টার্স