প্রতিপক্ষ ভক্তের ফোন ভাঙার ঘটনায় মাফ চেয়েও পার পাচ্ছেন না রোনালদো
এভারটনের বিপক্ষে ১-০ গোলের হার। মেজাজ ঠিক রাখতে পারেননি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সুপার স্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ড্রেসিং রুমে ফেরার সময় টানেলে ঢোকার আগে এভারটনের ভক্তের ওপর চটে যান তিনি। বাড়িয়ে রাখা ফোনে থাপ্পড় মারেন, ফোন পড়ে ভেঙে যায়। পর্তুগিজ তারকার বিরুদ্ধে অভিযোগ অবশ্য আরও বড়। জেক হার্ডিং নামের সেই ভক্তের মায়ের দাবি, আঘাত করে তার ১৪ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলের গায়ে দাগ ফেলে দিয়েছেন রোনালদো।
এই ঘটনায় ইতোমধ্যে ক্ষমা চেয়েছেন রোনালদো। কিন্তু এতেই কাজ হচ্ছে না, পার পাচ্ছেন না ছয়বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী। মোবাইল ভাঙার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তদন্তু শুরু করেছে পুলিশ। মোবাইল ভেঙে রোনালদো কোনো অপরাধ করেছেন কিনা, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তা নিশ্চিত হওয়ায় চেষ্টায় স্থানীয় পুলিশ।
মার্সিসাইড পুলিশ তার ব্যাপারটা তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে। স্থানীয় পুলিশ বাহিনী প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলছে এবং কী ঘটেছে তা তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের বিষয়ে এভারটন ম্যাচে দায়িত্ব পালন করা এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'বিষয়টা নিশ্চিত হতে মার্সিসাইড পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। তারা জড়িত সমস্ত পক্ষের সাথে কথা বলবে।'
গত শনিবার খেলা শেষে টানেলে প্রবেশ করছিল ম্যান ইউর খেলোয়াড়রা। এমন সময় গ্যালারির দুই পাশের দর্শকরা হাত নাড়ছিলেন, ছবি তুলছিলেন। রোনালদো কাছাকাছি আসতেই এক কিশোর ভক্ত তার ছবি তুলতে যান। এ সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে আচমকা সেই ভক্তের হাতে সজোরে আঘাত করে বসেন 'সিআরসেভেন'। রোনালদোর আঘাতে ভক্তের ফোনটি পড়ে ভেঙে যায়। হাতেও ব্যথা পায় এভারটনের এই ভক্ত।
কাজটা যে ঠিক হয়নি, কয়েক মুহূর্ত পরই সেটা বুঝতে পারেন রোনালদো। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেন রোনালদো। তিনি লেখেন, 'কঠিন মুহূর্তে আবেগের সঙ্গে মোকাবিলা করা কখনই সহজ নয়। তবু আমাদের সব সময় শ্রদ্ধাশীল, ধৈর্যশীল হতে হবে এবং সুন্দর খেলা পছন্দ করা সব তরুণদের জন্য উদাহরণ স্থাপন করতে হবে।'
এই পোস্টেই ক্ষমা চেয়ে রোনালদো লেখেন, 'আমি আমার ক্ষোভের জন্য ক্ষমা চাই। যদি সম্ভব হয়, আমি এই সমর্থককে খেলা দেখার জন্য ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আমন্ত্রণ জানাতে চাই।' কিন্তু ক্ষমা চেয়ে কাজ হচ্ছে না, তার বিরুদ্ধে ঠিকই তদন্ত শুরু করা হয়েছে।