এখনও ১২.৪৫ লাখ স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে পারেনি বিআরটিএ
১২ লাখ ৪৫ হাজার স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে সামান্যই অগ্রগতি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। ডেডলাইন মার্চের থাকলেও, এপর্যন্ত ছাপিয়েছে মাত্র তিন লাখ কার্ড। প্রিন্টের জন্য কর্তৃপক্ষটি দুটি নতুন কোম্পানির সাথে চুক্তি করলেও- তাতে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতির দেখা মেলেনি।
এর আগে ২০২১ সালের ২৯ আগস্ট সেনাবাহিনীর পরিচালিত বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) সাথে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাপানোর চুক্তি করে বিআরটিএ।
চুক্তি অনুযায়ী, ওই বছরের অক্টোবর থেকেই কার্ড ইস্যু করা শুরু করবে বিএমটিএফ এবং ছয় মাসের মধ্যে ১২ লাখ ৪৫ হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করবে।
সে হিসাবে, চলতি বছরের মার্চের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা ছাপানোর কাজ, অথচ এপর্যন্ত কোম্পানিটি ছাপিয়েছে মাত্র তিন লাখ।
বিআরটিএ'র পরিচালক ও মুখপাত্র মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, মহামারির কারণে ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় কার্ড ছাপানোর মেশিন আমদানি করতে না পারেনি বিএমটিএফ, একারণে নির্ধারিত সময়ে কার্ড ছাপানো সম্পন্ন করতে পারেনি।
চলতি মাসেই মেশিনগুলো আনা হবে। এরপর কোম্পানিটি দৈনিক ১০-১৫ হাজার কার্ড ছাপাতে পারবে। এবং বাদবাকি লাইসেন্স ছাপানো নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে বলে যোগ করেন তিনি।
বিএমটিএফ'কে কার্যাদেশ দেওয়ার আগে টাইগার আইটি নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে ছাপানোর চুক্তি করে বিআরটিএ। কিন্তু, কোম্পানিটি ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাংকের কালোতালিকা ভুক্ত হলে কর্তৃপক্ষটি অন্য কোম্পানি খুঁজতে থাকে। দেড় বছর পর ভারতীয় ফার্ম মাদ্রাস সিকিউরিটি প্রিন্টার্সকে (এমএসপি) নির্বাচন করে বিআরটিএ।
২০১৯ সালে লাইসেন্স ছাপানোর কার্যাদেশ পায় এমএসপি এবং এজন্য বাংলাদেশে একটি স্থাপনা স্থাপন করে। চুক্তি অনুযায়ী, পাঁচ বছরে ৪০ লাখ কার্ড সরবরাহের কথা কোম্পানিটির। এরমধ্যে ৯ লাখ সরবরাহের কথা ছিল ২০২১ সালের মধ্যে। কিন্তু, নয় মাস পরে এসেও এমএসপি সরবরাহ করতে পেরেছে মাত্র ১৩ হাজার কার্ড।
এদিকে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে দেরি হওয়ায় নানাবিধ সমস্যার শিকার হয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের অনেকের অভিযোগ, গন্তব্য দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে লাইসেন্স জমা দিতে না পারায় তাদের ড্রাইভিং ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে গেছে।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারী কিছু প্রবাসী বাংলাদেশি জানিয়েছেন, বাংলাদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে তাদের একদিকে যেমন খরচ বাঁচে, তেমনি বিদেশেও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজতর হয়।