জনগণের সুরক্ষা এবং জনস্বাস্থ্য আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচি এমনভাবে উদযাপিত হবে যাতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে জনগণ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে না পড়ে।
তিনি বলেন, 'প্রাণঘাতী ভাইরাস যেহেতু বিশ্বব্যাপী আতংক সৃষ্টি করেছে, কাজেই জনগণের সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যের প্রতি মনোনিবেশ করা আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। সে কারণেই আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কর্মসূচি পুনরায় সাজিয়েছি।'
প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের প্রারম্ভিক ভাষণে একথা বলেন।
'আমরা চাই জনগণ যাতে কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হন। তাদের মঙ্গলের কথা চিন্তা করেই আমরা কর্মসূচি (জন্মশতবর্ষ উদযাপন) নতুন করে সাজিয়েছি, যদিও এটা আমাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক ছিল,' বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী সিওভিআইডি-১৯ নামক প্রাণঘাতী ভাইরাসের কারণে দেশবাসীকে আতংকিত না হওয়ারও আহবান জানান।
তিনি বলেন, এই ভাইরাসটি কয়েকদিনের জন্য থাকবে তারপরে এটি শেষ হয়ে যাবে। তাই এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। শীত থেকে গ্রীস্মে যাওয়ার কারণে আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে।
স্বাভাবিকভাবেই শীতজনিত রোগগুলো এ সময় দেখা দেয় এবং আমি অবশ্যই বলতে পারি যে, স্বাভাবিক সর্দিতে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এতে কোনও সন্দেহ নেই যে, জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপন দেশের জন্য একটি বড় ঘটনা। তবে আমরা এটি অন্যভাবে উদযাপন করব, যাতে জনসমাগম কম হয় এবং তাঁরা (জনগণ) ঝুঁকিতে না পড়ে।'