শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখী মানুষের ঢল
ঈদুল ফিতরের ছুটির দ্বিতীয় দিনে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় ঘরমুখো মানুষের ঢল দেখা গেছে। গত কয়েক দিনের তুলনায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে । ফেরি স্বল্পতায় দক্ষিণবঙ্গের ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। এতে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক ছোট বড় যানবাহন।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-মাঝিকান্দি নৌপথে ছোট বড় মিলিয়ে ১০টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। পাশাপাশি রয়েছে ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫২টি স্পিডবোটসহ ৮টি ট্রলার।
সেহরির সময় থেকে পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী থেকে শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে আসতে শুরু করে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ। এতে বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহনের সারি দীর্ঘ হতে শুরু করে। এদিকে স্পিডবোট ও লঞ্চঘাট যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।
নুসরাত আরিফিন জানান মাদারীপুরের যাব করতে পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে শ্বশুর শাশুড়ির সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে আছে ফেরিঘাটে ছোট বাচ্চা নিয়ে। প্রতিবার ঈদের সময় তাকবীর ও মনে হয় কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল আগে থেলে সংখ্যা বাড়ানো যাতে নির্বিঘ্নে যাত্রী পারাপার হতে পারে।
নাজমুল হাসান মিরপুর থেকে বাসে করে দেড় ঘণ্টায় মাওয়া ঘাটে এসেছেন। "লঞ্চে পাড়ি দিব। বরিশাল যাব রাস্তায় কোন সমস্যা হয় নাই লঞ্চঘাটে প্রচুর যাত্রী অপেক্ষা করছে, একটু কমলে যাব", বলেন তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, সকাল থেকে প্রচন্ড রকমের যাত্রীদের চাপ রয়েছে। স্পিডবোট ও লঞ্চঘাট এলাকায় পা ফেলার মতো জায়গা নেই। ভোর থেকে ১৫২টি স্পিডবোট ও ৮৫টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোঃ ফয়সাল জানান , বর্তমানে মোট ১০টি ফেরি পারাপারে কাজ করছে। সকাল থেকে এ পর্যন্ত তিন শতাধিক গাড়ি পারাপার হয়েছে, ঘাট এলাকায় প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন রয়েছে তবে মহাসড়কের কোন গাড়ি থাকে এটা আমাদের জানা নেই। ১ নম্বর ফেরিঘাট দিয়ে শুধু মোটরসাইকেল পারাপার করবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে।