করোনার তীব্রতা কমায় স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করছেন চিকিৎসক, নার্সরা
২০২০ সালের শুরুর দিকে বিশ্বে করোনার প্রাদুর্ভাব হয়। এর পরের দু-বছর মহামারিতে বিপর্যস্ত ছিল বিশ্ব। মহামারি শুরুর এই প্রথম স্বস্তিতে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন দেশের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট ডা. আসাদুল মজিদ নোমান। গত দু-বছর ধরে ঈদের দিনও হাসপাতালে ডিউটি করতে হয়েছে তাকে।
ডিউটি শেষে পরিবারের সঙ্গে দেখা করার আগে তাকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়েছে।
তবে এ বছর ছুটি পেয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারছেন তিনি।
ডা. নোমান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'ঈদের ছুটিতে রোগীর চাপ কম। দুই বছর পর কোয়ারেন্টিন, আইসোলেশন ছাড়া স্বস্তির ঈদ পেলাম। এখন আমাদের কয়েকজন কলিগ রোস্টার বেসিসে ডিউটি পালন করছেন।'
ডা. নোমানের মতোই অধিকাংশ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী দুই বছর পর ঈদের ছুটি পেয়েছেন।
কোভিডের কারণে ২০২০ সাল থেকে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ঈদের ছুটি দেওয়া হয়নি। এবার সেরকম কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
তাই সেই অনুযায়ীই স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালগুলোতে। বেশিরভাগ হাসপাতালেই দায়িত্ব পালন করছেন হিন্দু ধর্মালম্বী চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
ডাক্তার-নার্সদের মত গত দুই বছর ঈদের দিনও কোভিডের স্যাম্পল টেস্টে ব্যস্ত ছিলেন ভাইরোলজিস্ট ও টেকনোলজিস্টরা। এ বছর স্বস্তিতে ঈদ উৎযাপন করতে পারছেন তারাও।
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অভ ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান, সহকারী অধ্যাপক আরিফা আকরাম টিবিএসকে বলেন, 'কোভিডের মধ্যে হওয়া প্রথম ঈদের দিন আমি একাই ২ হাজার স্যাম্পল টেস্ট পরীক্ষা করেছি।
'গত দুই বছর ঈদের দিনও আমরা স্যাম্পল টেস্টে ব্যস্ত ছিলাম। তবে এবার সংক্রমণ কমায় কিছুটা স্বস্তিতে আছি। তবে কোনো ইমার্জেন্সি প্রয়োজন হলে আমি ল্যাবে যাব।'
ঈদের ছুটির মধ্যে হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম দেখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত এডিজি (প্রশাসন) হিসেবে ঈদের দিন সকাল সাড়ে দশটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী হাসপাতালে রাখার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ঈদের ছুটিতে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কম থাকলেও জরুরি বিভাগ ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হবে।