বাংলাদেশি পণ্য প্রচারে আগ্রহী আলিবাবা
বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পরিমাণ এসএমই পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করতে চায় বৈশ্বিক ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা ডট কম। বাংলাদেশি পণ্যের প্রচারে আলিবাবা ডট কমের প্লাটফর্মে বাংলাদেশি পণ্যের জন্য পৃথক অনলাইন প্যাভিলিয়ন করার প্রস্তাব করেছে চীনভিত্তিক কোম্পানিটি।
গত এপ্রিলে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলরের সঙ্গে বৈঠকে এসব প্রস্তাব করার পর গত ১০ মে দূতাবাসে পাঠানো এক চিঠিতেও এমন আগ্রহের কথা জানিয়েছে আলিবাবা ডট কম। এজন্য চিঠিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তা চেয়েছে কোম্পানিটি।
আলিবাবা ডট কমের এই আগ্রহের কথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানিয়েছেন চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন।
"ট্রাডেশি লিমিটেডের মতো স্থানীয় চ্যানেল পার্টনারের সহযোগিতায় আমরা বাংলাদেশে এসএমই'র জন্য রপ্তানির সুযোগ তৈরি করেছি এবং তাদের রপ্তানি সংহত করতে সাহায্য করেছি," চিঠিতে বলেছে আলিবাবা।
বাংলাদেশি পণ্যের অধিকতর প্রচারের জন্য, কোম্পানিটি বিভিন্ন সরকারি দপ্তর যেমন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং অন্যান্য বাণিজ্য সংস্থার সাথে সংযোগ স্থাপন করতে চায়।
এছাড়াও এটি ই-ক্যাবের মতো স্থানীয় ই-কমার্স সংস্থাগুলোর সাথে সংযোগ রাখতে চায়; পাশাপাশি দেশে পরিষেবা প্রদানের জন্য অনুমোদিত (অথোরাইজড) অংশীদার হিসাবে বিটুবি ক্রস-বর্ডার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে খুঁজতে চায়।
আলিবাবা জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে নতুন ব্যবসার সুযোগ খুঁজে পেতে স্থানীয় এসএমইদের সহায়তা এবং বিদেশী ক্রেতাদের বাংলাদেশ থেকে কিনতে সাহায্য করবে তারা।
বর্তমানে, ই-কমার্স কোম্পানিটির ওয়েবসাইটে পণ্য বিক্রির জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০০ জন সাপ্লায়ার রয়েছে।
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড সার্ভিসেস এর সাবেক সভাপতি একেএম ফাহিম মাশরুর দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, আলিবাবা বাংলাদেশে যে পরিমাণ চীনা পণ্য বিক্রি করছে, তার ১ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যও তারা বিশ্ববাজারে বিক্রি করছে না।
"এটি সুখবর যে আলিবাবা বৈশ্বিক গ্রাহকদের কাছে বাংলাদেশি পণ্য প্রচারে আগ্রহ দেখিয়েছে। আমি মনে করি এটি আমাদের এসএমই সম্প্রসারণে সাহায্য করতে পারে তবে বিষয়টি মোকাবেলায় সরকারের সতর্ক হওয়া উচিত", যোগ করেন ফাহিম।
ফাহিম মাশরুরের কথায়, "আলিবাবা অনেক দেশে চীনা পণ্যের বাজার তৈরি করেছে কিন্তু সেসব দেশের জন্য তেমন কিছু করেনি।
বাংলাদেশে আলিবাবা প্ল্যাটফর্মের [দারাজ এবং আলি এক্সপ্রেস] মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ চীনা পণ্য বিক্রয় হচ্ছে, যা অনেক স্থানীয় নির্মাতাদের ব্যবসা ধ্বংস করেছে।"
বিক্রয়ের অধিকাংশই চীনা পণ্য, এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্বে সরকারকে তাই অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে বলে তিনি মনে করেন।