আন্তঃব্যাংকে ডলারের দর ৯১.৯৫ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
আন্তঃব্যাংক লেনদেনে মার্কিন ডলারের বিনিময় দর ৯১ টাকা ৯৫ পয়সা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া আজ সোমবার (৬ জুন) ব্যাংকগুলোর কাছে ১০ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন করে নির্ধারিত দরে এখন থেকে ডলার বিক্রি করবে বলেও জানান তিনি। আগেরদিন রোববারের (৫ জুন) ৮৯.৯০ টাকার তুলনায় যা ২ টাকা ০৫ পয়সা বেশি। এর আগে বৃহস্পতিবার ডলারের দর ছিল ৯১.৫০ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের একক দর প্রত্যাহারের দুই কার্যদিবস পর রোববার বেশিরভাগ ব্যাংক প্রতিডলার ৯১.৫০ থেকে ৯২ টাকা পর্যন্ত দরে ঋণপত্র (এলসি) নিষ্পত্তি করেছে।
এর আগে গত ২৬ মে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য ব্যাংকগুলোকে ডলারের একক দর বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে গত ২ জুনের ঘোষণায় জানানো হয়, ব্যাংকগুলো এখন থেকে নিজস্বভাবে ঋণপত্র খোলা ও রেমিট্যান্স সংগ্রহের ক্ষেত্রে ডলারের দর নির্ধারণ করতে পারবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত হারে সংগ্রহ করতে হলে রেমিট্যান্সে বড় ধরনের প্রভাব পড়তো, সেজন্য এটি উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু, এর ফলে ডলারের দাম যেন হঠাৎ বেড়ে না যায়- সে বিষয়েও ব্যাংকগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। একই নির্দেশনা রয়েছে ফরেন এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর প্রতি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করলে বিশ্ববাজারে প্রায় সকল পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করে। তার ওপর বৈশ্বিক সরবরাহ চক্রে চরম আঘাত হেনেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জাহাজে পরিবহনের খরচ আরও বেড়েছে। এতে ডলারের চাহিদাও বেড়েছে।
বিশ্ববাজারে প্রায় সবকিছুর আকাশছোঁয়া মূল্যের বাস্তবতায় বাংলাদেশের টাকার মতো বিশ্বের অন্যান্য দেশের ছোটখাট মুদ্রাগুলি ডলারের বিপরীতে মান হারাচ্ছে।