বাংলাদেশ ও ভারতের ট্রেন চলাচল বন্ধ
প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। গত রোববার থেকে এই যোগাযোগ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়। এর মাধ্যমে কলকাতাসহ দেশটির অন্যকিছু শহরের সঙ্গে বাংলাদেশের ট্রেন সংযোগ আপাতত বন্ধ রাখা হলো।
কেন্দ্রীয় সরকারের এক নির্দেশনার আওতায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এর আওতায় মৈত্রী এবং বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনদুটি পূর্ব নোটিশ দেওয়ার আগ পর্যন্ত; গত ১৫ মার্চ থেকে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়। তবে পরবর্তী নোটিশের আওতায় এই সময়সীমা বাড়তে বা কমতে পারে।
পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতেই রেল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এদিকে বন্ধ হওয়া মৈত্রী এক্সপ্রেস ঢাকা-কলকাতা রুটে সরাসরি চলাচল করতো। আর বন্ধন এক্সপ্রেস চলাচল করতো কলকাতা ও খুলনা রুটে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ট্রেন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ; শিয়ালদহ, হাওড়া এবং আসানসোল বিভাগে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে যাত্রী ও কর্মীদের সচেতন করার উদ্যোগও নিয়েছে। সকলকে ভাইরাস প্রতিরোধের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়াসহ নিয়মিত হাত পরিষ্কার রাখার অনুরোধ করা হচ্ছে।
কারও দেহে জ্বর বা কাশির প্রবণতা দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গেই ওই ব্যক্তিকে নিজেকে অন্য যাত্রীদের থেকে 'বিচ্ছিন্ন' থাকার অনুরোধও আছে এসব প্রচারণার মধ্যে।
পূর্বাঞ্চলীয় রেল কর্তৃপক্ষ শিয়ালদহে অবস্থিত তাদের প্রধান রেলওয়ে হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করেছে। এছাড়াও, হাওড়া, আসানসোল, মালদার বিভাগীয় হাসপাতালগুলোতেও একই পদক্ষেপ কার্যকর নেয়া হচ্ছে। লিলুয়া,কাঁচরাপাড়ার রেলওয়ে ওয়ার্কশপ হাসপাতাল এবং আন্দাল সাব ডিভিশন হাসপাতালও এর মধ্যে আছে।
রেলগাড়ির যেসব স্থান থেকে জীবাণু সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি বেশি যেমন; টয়লেটের দরজার হাতল, বগিতে ঢোকার হ্যান্ডরেইল ইত্যাদি স্থান জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করে রেলওয়ের আসানসোল বিভাগ।