দেশজুড়ে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস
মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে দেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশংকা করা হচ্ছে।
সকালে প্রকাশিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়ার সাথে বিদ্যুৎ চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
তবে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ২৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে অধিদপ্তর।
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলে কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের সতর্কবার্তায় উল্লেখ করেছে।
গত তিন দিনের অবিরাম বর্ষণে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে চট্টগ্রাম নগরে; পানিতে নিমজ্জিত বিভিন্ন এলাকা।
আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, জামাল খান, বড় পোল, ছোট পোল, পতেঙ্গা, ইপিজেড, প্রবর্তক মোড়, ষোলশহর, দামপাড়াসহ নগরের প্রায় সব সড়কই প্লাবিত হয়েছে।
হালিশহর, সরাইপাড়া, মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট, অক্সিজেন মোড়, চকবাজার, বহদ্দারহাট, বাকলিয়া, গোসাইলডাঙ্গাসহ নিচু এলাকাগুলোও ডুবে গেছে।
এমনকি বহদ্দারহাটে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবন তলিয়ে গেছে।
হাসপাতাল ও থানাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোও পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্দরনগরীতে বিশৃঙ্খলা ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ইতিমধ্যে ১৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে; গৃহহীন হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
নেত্রকোনার হাওড়দ্বীপ খালিয়াজুরী, কলমাকান্দা, মোহনগঞ্জ ও মদনসহ ৯ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। শুধু দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্যার পানি কমছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলেছে, দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের আরও ১৭টি জেলা বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে।
সিলেটের প্রায় ৮০% এবং সুনামগঞ্জের ৯০% চলে গেছে পানির নিচে।