সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য আর্থিক সংস্কারগুলো জরুরি: বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর
সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন খাত সংস্কারের ওপর আবারো জোর দিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক।
তিনি বলেন, মুদ্রানীতি ও আর্থিক খাতে সংস্কার প্রয়োজন। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে কিছু সংস্কার কাছ করেছে। ব্যাংকিং খাতে সংস্কার হয়েছে, সুদ হারের সীমা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রমে বিশ্ব্যাংকের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে সংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর।
আবদুলায়ে সেক বলেন, সংস্কারের পাশাপাশি জনগণের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। জলবায়ুর অভিঘাত থেকে জনগণকে বাঁচাতে বিনিয়োগ করতে হবে।
এসময় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। ইতোমধ্যে সরকার যেসব সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে, বিশ্বব্যাংক তাতে সন্তুষ্ট। যেমন সুদহারের সীমা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, বিশ্বব্যাংক আরো সংস্কার চায়।
এম এ মান্নান বলেন, সরকার এবং ও বিশ্বব্যাংক উভয়ই মনে করে সামনের মাসগুলোয় (নির্বাচনের সময়) যদি পরিবেশ ভালো থাকে, তাহলে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। কাজের পরিবেশ, উৎপাদনের পরিবেশ এবং সামাজিক শৃঙ্খলা যদি ভালো থাকে, তাহলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন বাধাগ্রস্ত হবে না।
মন্ত্রী জানান, গেল সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি বাড়েনি, এটাই আমাদের জন্য স্বস্তির খবর। মূল্যস্ফীতি কমাতে যা যা করা দরকার, সরকার করছে। চলতি বছরের শেষদিকে মূল্যস্ফীতি পাঁচ বা ছয় শতাংশে নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির আঘাত মোকাবিলায় নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য প্রণোদনা কর্মসূচি আরো সম্প্রসারণ করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক আরো সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছে। এর আগে এ খাতে বিশ্বব্যাংক ১০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়।