পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বিশাল ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন
পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের বিরোধী আইনপ্রণেতাদের ভোটে আজ সোমবার (১১ এপ্রিল) ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শাহবাজ শরিফ। দায়িত্বগ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি অর্থনৈতিক দুর্দশাপীড়িত পাকিস্তানিদের জন্য বিপুল ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ৩৪২, এরমধ্যে সোমবার ১৭৪ ভোটে ও বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন শাহবাজ। তিনি ছিলেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ- নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রার্থী। বিরোধী জোটের অন্য দলগুলোও তার প্রার্থীতাকে সমর্থন দেয়।
অন্যদিকে, তার মনোনয়নের বিরোধিতা করে ভোটাভুটি শুরুর আগেই জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন ইমরান ও তার দলের সকল আইনপ্রণেতা। ফলে ভোটাভুটির ফলাফল শাহবাজের পক্ষে যাওয়া প্রায় নিশ্চিতই ছিল।
নির্বাচিত হওয়ার পর জাতীয় পরিষদে উপস্থিত আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্য দেওয়া ভাষণে, নতুন প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের বেতন ১০ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে যারা এক লাখ পাকিস্তানী রুপি বেতন পাচ্ছেন- তাদের ক্ষেত্রে এ বৃদ্ধি কার্যকর হবে। একইসঙ্গে তিনি অবসরপ্রাপ্ত, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের পেনশন আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণাও দেন। আরও দিয়েছেন, কর্মীদের ন্যূনতম মাসিক বেতন ২৫ হাজার রুপি করার করার ঘোষণা।
শুরুতে তিনি পরম করূণাময় সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে অধিবেশনে তার 'রিলিফ প্যাকেজের' ভাষণ শুরু করেন।
এসময় তিনি উল্লেখ করেন যে, পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনো প্রধানমন্ত্রীকে (ইমরান খান) অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে পদচ্যুত করা হলো। এতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী হওয়ার প্রতিও ইঙ্গিত দেন শাহবাজ।
শাহবাজ বলেছেন, নতুন সরকার ক্ষমতায় আসায় আপামর জনতা আনন্দিত, অর্থনৈতিক সূচকগুলোই তার প্রমাণ। প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে সোমবার ১৯০ পাকিস্তানী রুপি বিনিময় হলেও, কার্যদিবস শেষের লেনদেনে তা ১৮২-তে পৌঁছানোর মতো উন্নতি করাকে তিনি উদাহরণ দেন।
অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠান ও পার্লামেন্ট বহালের আদেশ দেওয়ায় তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শাহবাজ শরিফ এ 'অবিসংবাদিত' রায় ঘোষণার ক্ষণকে পাকিস্তানের ইতিহাসের এক 'ঐতিহাসিক দিন' বলেও আখ্যা দেন।
- সূত্র: দ্য নিউজ