জানি না আর কী করলে মানুষের সম্মান পাবো: নেইমার
ম্যাচে একটি গোল এবং অ্যাসিস্ট করে দলকে জিতিয়েছেন। বৃহস্পতিবার পেরুর বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতার রাতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিলের হয়ে সর্বাধিক গোল দেওয়ার রেকর্ডটিও নিজের করে নিয়েছেন নেইমার। কিন্তু এরপরও ব্রাজিলিয়ান ভক্তদের মন জয় করতে পারছেন না এই পিএসজি তারকা।
গোলের রেকর্ড ভাঙলেও ম্যাচের এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ার জন্য ভক্তদের দুয়ো শুনতে হয়েছে এই ২৯ বছর বয়সীকে।
পেরুর বিপক্ষে গোলটির মাধ্যমে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নেইমারের গোলসংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১২ তে, যা তাকে ব্রাজিল কিংবদন্তি রোমারিও, জিকো এবং রোনালদোরও উপরে নিয়ে গেছে।
কিন্তু রেকর্ডের রাতেও ভক্তদের আচরণে নাখোশ ছিলেন নেইমার।
গ্লোবো টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেইমার বলেন, "অবশ্যই সবার আগে দল। কিন্তু বাছাই পর্বের সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পেরে আমি গর্বিত। জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টও আমার। এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অচিরেই পেলের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও ছাড়িয়ে যাবো আমি।
"এরপর আর কী করলে মানুষ আমাকে সম্মান করবে, জানি না। এটা এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে, অনেক দিন ধরেই। সাংবাদিক, কমেন্টেটর, এবং বাকিরাও এমনই। এজন্য মাঝে মাঝে কাউকে সাক্ষাৎকার দিতেও মন চায় না আমার। কিন্তু যখন দরকার পড়ে, তখন আমিই আসি।
"(এ ব্যাপারে) আমি সবাইকে বলবো, একটু চিন্তা করে দেখুন।"
অতিরিক্ত ওজনের জন্য সমালোচিত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে এমন মন্তব্য করলেন নেইমার।
গত সপ্তাহে চিলির বিপক্ষে ম্যাচের পর নেইমারের বিরুদ্ধে মুটিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু সে দাবি হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন এই পিএসজি তারকা। জানিয়েছিলেন, তার জার্সির সাইজ বড় ছিল।
সাবেক সান্তোস এবং বার্সেলোনা তারকা এখন ব্রাজিলের ইতিহাসেরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। জাতীয় দলের জার্সিতে তার নামের পাশে আছে ৬৯টি গোল। ৭৭টি গোল নিয়ে তার উপরে আছেন কেবল কিংবদন্তি পেলে।
পেরুর বিপক্ষে হলুদ কার্ড দেখার কারণে ব্রাজিলের পরবর্তী বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে খেলতে পারবেন না নেইমার। ৭ই অক্টোবর পরবর্তী ম্যাচে ভেনেজুয়েলার মুখোমুখি হবে তিতের দল। এই ম্যাচে খেলতে না পারলেও, তিন দিন পর কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে আবার মাঠে নামতে পারবেন নেইমার।
- সূত্র: গোল ডটকম