পাকিস্তানকে হারিয়ে থাইল্যান্ডের মেয়েদের চমক
টি-টোয়েন্টিতে পথচলার শুরুই ২০১৮ সালে। চার বছরে ৫৩টি টি-টোয়েন্টি খেললেও বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলার তেমন সুযোগ হয়নি থাইল্যান্ড জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের। তারাই নারীদের এশিয়া কাপে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাস নতুন করে লিখলো। কদিন আগে যে পাকিস্তানের বিপক্ষে পাত্তা পায়নি বাংলাদেশও, সেই পাকিস্তানকে হারিয়ে চমক জাগালো থাইল্যান্ডের মেয়েরা।
বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের এশিয়া কাপের ম্যাচে পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে থাইল্যান্ড। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারা থাইল্যান্ডের মেয়েরা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও হারে। তৃতীয় ম্যাচে এসে পাকিস্তানকে চমকে দিয়ে জয় তুলে নিলো তারা।
এটা ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে থাইল্যান্ডের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি। আগের দুই ম্যাচের একটিতে হারে তারা, আরেকটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। ২০১৮ সালে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের প্রথম ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষেই খেলেছিল থাইল্যান্ড। সেই ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারে তারা। চার বছর পর এসে বড় মঞ্চে বদলাটা ভালোই নিলো থাইল্যান্ড।
বৃহস্পতিবার টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে পাকিস্তান। বেশি উইকেট না হারালেও টি-টোয়েন্টির মেজাজে ব্যাট চালাতে পারেনি বিসমাহ মারুফের দল। সিদরা আমিনের হাফ সেঞ্চুরির পরও ৫ উইকেটে ১১৬ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। জবাবে ম্যাচসেরা নাথাকান চান্তামের অসাধারণ ইনিংসে ১ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় থাইল্যান্ড।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নামা থাইল্যান্ডকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পথ দেখান চান্তাম। ডানহাতি এই ওপেনার ৫১ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন। আরেক ওপেনার নানাপাত ১৩ ও অধিনায়ক নারুয়েমল চাওয়াই ১৭ রান করেন। পাকিস্তানের নিদা দার ও তুবা হাসান ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান নাশরা সান্দু ও কায়নাত ইমতিয়াজ।
এর আগে ব্যাটিং করা পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন সিদরা। ৬৪ বলে ৬টি চারে ৫৬ রান করেন তিনি। মুনিবা আলী ১৫, নিদা দার ১২ ও আলিয়া রিয়াজ ১০ রান করেন। থাইল্যান্ডের সরনারিন তিপোচ ২টি ও থিপাচা পুতাওং একটি উইকেট নেন।