সেঞ্চুরিতে ষষ্ঠতম মুস্তাফিজ
শহীদ আফ্রিদিকে আউট করার সেই দৃশ্যটা নিশ্চয়ই মনে আছে মুস্তাফিজুর রহমানের। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট বলে কথা। ২০১৫ সালে শুরুর পর বিশ্বকে কাঁপিয়ে দেওয়া বাংলাদেশের বাঁহাতি এই পেসার এরপর অনেক সাফল্যের পথ মাড়িয়েছেন, দেখেছেন দুঃসময়ও। সব ছাপিয়ে এখনও তিনি বাংলাদেশের পেস আক্রমণের অন্যতম সেরা অস্ত্র। এবার ইংল্যান্ডের ডেভিড মালানকে ফিরিয়ে আরও একটি মনে রাখার মতো উইকেট নিলেন তিনি, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যে ১০০ উইকেট পূর্ণ হলো মুস্তাফিজের।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠতম বোলার হিসেবে উইকেটের সেঞ্চুরি পূর্ণ হলো মুস্তাফিজের। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এলিট এই তালিকায় নাম উঠলো তার। বিশ্বের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে শ্রীলঙ্কার সাবেক পেসার লাসিথ মালিঙ্গার পর ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, যিনি এখন এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকার দুই নম্বরে।
৮১তম ম্যাচে এসে উইকেটের সেঞ্চুরি পূরণ হলো মুস্তাফিজের, যা বিশ্বের চতুর্থ দ্রুততম। আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার মাত্র ৫৩ ম্যাচে ১০০ উইকেট পূর্ণ করেন, দ্রুততমর তালিকায় তিনি সবার উপরে। দ্বিতীয় দ্রুততম মালিঙ্গা ৭৬ ম্যাচে ১০০ উইকেট নেন। ৭৮ ম্যাচে ১০০ উইকেট পূর্ণ করা নিউজিল্যান্ডের স্পিনার ইশ সোধি তৃতীয় দ্রুততম, এরপরই মুস্তাফিজ।
১০০ উইকেটের মাইলফলক আরও আগে পূরণ হতে পারতো মুস্তাফিজের। কিন্তু মাঝে ধারহীন হয়ে পড়ায় তা হয়নি। হইচই ফেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা বাংলাদেশের এই পেসার টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ৫০ উইকেট নেন ৩৩ ম্যাচ। পরের ৫০ উইকেট নিতে তার লেগে গেল ৪৮ ম্যাচ। ৫৪ ম্যাচ পর্যন্ত ছন্দময় পথচলা ছিল মুস্তাফিজের, নেন ৮২ উইকেট। কিন্তু শেষ ২৭ ম্যাচে তার শিকার কেবল ১৮ উইকেট।
১০৭ ম্যাচে ১৩৪ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় শীর্ষে নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি। দুইয়ে থাকা সাকিব ১১২ ম্যাচে নিয়েছেন ১৩০ উইকেট। আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার ৭৭ ম্যাচে ১২৬ উইকেট নিয়ে তিন নম্বরে। চার নম্বরে থাকা ইশ সোধি ৯১ ম্যাচে ১১৪ উইকেট শিকার করেছেন। সর্বপ্রথম এই মাইলফলক ছোঁয়া মালিঙ্গা ৮৪ ম্যাচে নিয়েছেন ১০৭ উইকেট, তিনি আছেন পাঁচ নম্বরে।