নাটকীয়তার শেষ দিনে গোল ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন, ১১ বছরের রাজত্ব ভাঙতে ব্যর্থ ডর্টমুন্ড
বুন্দেসলিগাকে একপেশে বানিয়ে গত ১০ বছর টানা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। এবারের মৌসুমে সুযোগ ছিলো সেই ধারা ভাঙার। ঘরের মাঠে মাইঞ্জের বিপক্ষে জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হতো বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। কিন্তু ২-২ গোলের সমতায় ম্যাচ শেষ করে নিজেদের কপাল পুড়িয়েছে তারা।
মৌসুমের ৩৪ ম্যাচ শেষে বায়ার্ন আর ডর্টমুন্ডের পয়েন্ট সমান ৭১ হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বায়ার্ন।
ভাগ্য নিজেদের হাতে না থাকলেও সেটি করায়ত্ত করেছে বায়ার্ন। কোলনের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে জিতে নিজেদের কাজটা করেছে বাভারিয়ানিরা। সেই সঙ্গে ডর্টমুন্ডের ড্র তাদেরকে এনে দিয়েছে টানা ১১ লিগ শিরোপার স্বাদ।
নাটকীয়তায় ভরপুর বুন্দেসলিগার শেষ দিনে ডর্টমুন্ডের সামনে সমীকরণ ছিলো সহজ, নিজেদের মাঠে জিতলেই চ্যাম্পিয়ন তারা। ড্র করলেও ডর্টমুন্ড জিততে পারতো, তবে সেক্ষেত্রে বায়ার্নকেও নিজেদের ম্যাচ ড্র করা বা হারা লাগতো। ডর্টমুন্ড এবং বায়ার্ন দুই দলই হারলেও চ্যাম্পিয়ন হতো ডর্টমুন্ডই।
কিন্তু বায়ার্নের সব সমীকরণ মিললেও নিজেদের অংক মেলাতে ব্যর্থ হয়েছেন মার্কো রয়েস-ম্যাটস হামেলসরা। এজন্য নিজেদেরকেই দায়ি করতে পারে তারা।
ঘরের মাঠে মাইঞ্জের কাছে পিছিয়ে পড়ার পরে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল ডর্টমুন্ডের সামনে। কিন্তু পেনাল্টি মিস করেন সেবাস্তিয়ান হলার। উল্টো ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ডর্টমুন্ড। বিরতির পর একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে হলুদ-কালোরা। রাফায়েল গেরেরোর গোল কিছুটা আশা জাগায় তাদের। এরপর ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে নিকলাস সুলে সমতা ফেরালেও বায়ার্ন নিজেদের ম্যাচ জিতে যাওয়ায় তা যথেষ্ট হয়নি ডর্টমুন্ডের জন্য।
অন্যদিকে নিজেদের ম্যাচেও ড্র করতে করতে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বায়ার্ন। কোলনের মাঠে কিংসলে কোমানের গোলে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা। ৪৬ মিনিটে সানে ব্যবধান ২-০ করলেও ভিএআর বাতিল করে সেটি। ডর্টমুন্ড হারতে থাকায় ১-০ গোলে জিতেই চ্যাম্পিয়ন হওয়া ভবিতব্য মনে হচ্ছিল।
তখনই আরেক প্রস্থ নাটক, ৮১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতায় ফেরে কোলন। তখনও বায়ার্নই চ্যাম্পিয়ন হতো, কিন্তু ডর্টমুন্ড গোল করে সমতায় ফিরলে আবার তারাই এগিয়ে যেতো পয়েন্টের ব্যবধানে। তাই বায়ার্নকে আরেকটি গোল করতেই হতো।
৮৯ মিনিটে সেই জাদুকরি মুহূর্তের জন্ম দেন ১৯ বছর বয়সী জার্মান মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালা। তার দুর্দান্ত গোল ২-১ গোলে এগিয়ে দেয় টমাস টুচেলের দলকে। শেষ পর্যন্ত বায়ার্ন ২-১ গোলে জেতায়, ডর্টমুন্ড ম্যাচের অন্তিম সময়ে ২-২ গোলে সমতায় ফিরলেও বায়ার্নের ক্ষতি হয়নি।
গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে টানা ১১ বুন্দেসলিগা শিরোপা ঘরে তোলে বায়ার্ন। ম্যাচ শেষে হতাশায় নিমজ্জিত হোন ডর্টমুন্ড খেলোয়াড়রা, মুদ্রার উল্টো পাশে আনন্দে মাতেন বায়ার্ন খেলোয়াড়রা।