সেনেগালের কাছে হারের কোনো অজুহাত নেই ব্রাজিলের
আফ্রিকান দলগুলো ইদানিং বেশ ভালোই ঝামেলা করছে ব্রাজিলের সঙ্গে। কাতার বিশ্বকাপে ক্যামেরুনের কাছে হারের পর এবার প্রীতি ম্যাচে সেনেগালের কাছে হেরেছে সেলেকাওরা। সেটিও ৪-২ গোলের ব্যবধানে।
তবে এমন হারের কোনো অজুহাত দাঁড় করাতে চান না ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা। পূর্ণকালীন কোচ ছাড়াই চলছে এখন ব্রাজিল দল। কিন্তু এটিকে হারের কারণ বলতে নারাজ তারা।
সেনেগালের বিপক্ষে হোসে আলভালাদ স্টেডিয়ামে গতকাল খুব দ্রুতই এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। ১১ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের অ্যাসিস্টে গোল করেন লুকাস পাকেতা। তবে বেশিক্ষণ সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি তারা। ২২ মিনিটে হাবিব দিয়ালোর গোলে সমতায় ফেরে সেনেগাল।
প্রথমার্ধ ১-১ সমতায় শেষ করার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলের হতাশা বাড়িয়ে দেন মারকুইনোস। ৫২ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে সেনেগালকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলের এই ডিফেন্ডার। ৫৫ মিনিটে দুর্দান্ত গোলে সেনেগালকে ৩-১ গোলে এগিয়ে নেন সাদিও মানে।
এরপর ৫৮ মিনিটে মারকুইনোসের গোলেই ব্যবধান কমায় ব্রাজিল। কিন্তু সমতায় তো ফিরতেই পারেনি সেলেকাওরা, উল্টো যোগ করা সময়ে মানের পেনাল্টি গোলে আরো ব্যবধান বাড়ায় সেনেগাল। শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের জয় পায় আফ্রিকান দলটি।
সেনেগালের কাছে হারার পর সতীর্থদের আরো দায়িত্ব নিয়ে খেলার পরামর্শ দেন ব্রাজিলের ডিফেন্ডার দানিলো। স্পোর টিভিকে দানিলো বলেন, 'আমাদের অনেক নতুন ফুটবলার এসেছে, সিস্টেম পরিবর্তন হয়েছে। অনেক খেলোয়াড় ছুটি কাটিয়ে ফিরেছে। তবে অজুহাত দিলে এবং এভাবে হারলে চলবে না। খুব দ্রুত শিখতে হবে কারণ আমাদের নিয়ে অনেকেরই বেশি আশা।'
কাতার বিশ্বকাপের পর ব্রাজিল আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিনটি ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে জিতেছে মাত্র এক ম্যাচে। আগের ম্যাচেই বার্সেলোনায় গিনিকে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল তারা। এর আগে মার্চের শেষে মরক্কোর কাছে ২-১ গোলে হেরেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।