হৃদয় ভাঙা হারে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশের
পারল না বাংলাদেশ, সেমি-ফাইনাল খেলার স্বপ্ন ভঙ্গ হলো মাহফুজুর রহমান রাব্বির দলের। খুব কাছে এসেও মাত্র পাঁচ রানের ব্যবধানে হেরে যুব বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশের যুবারা।
সেমি-ফাইনালে খেলতে হলে পাকিস্তানের দেওয়া লক্ষ্য ৩৮.১ ওভারে তাড়া করতে হতো বাংলাদেশকে। সেই লক্ষ্যের খুব কাছে পৌঁছে গেছিলেন স্টুয়ার্ট ল'র শিষ্যরা। কিন্তু হৃদয় ভেঙে যাওয়া মুহূর্তটি আসে মোহাম্মদ জিসানের বলে মারুফ মৃধা বোল্ড হয়ে আউট হয়ে গেলে।
সুপার সিক্সে নিজেদের গ্রুপের বাঁচামরার লড়াইয়ে আগে ফিল্ডিং করলে পাকিস্তানকে ৩৮.১ ওভারের মধ্যে হারাতে হতো বাংলাদেশকে। সেই লক্ষ্যে প্রতিপক্ষকে মাত্র ১৫৫ রানে অলআউট করে দেন বাংলাদেশের বোলাররা। দারুণ বোলিং করে চারটি করে উইকেট নেন পেসার রহনোত দৌলা বর্ষণ ও অফ স্পিনার শেখ পারভেজ ইমন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করে বাংলাদেশ, ওপেনার জিসান রান তাড়ার কাজটা বেশ ভালোভাবেই সূচনা করেন। তবে তিনি ১২ বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর আরেক ওপেনার শিবলিও আউট হন দ্রুতই। তবে এরপরেও ধীরেসুস্থে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশের ইনিংস। সেখান থেকে পথ হারানোর শুরু, ৭৬ রান ৮৩ রানের মধ্যে তিনটি উইকেটের পতন ঘটায় চাপে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস।
এরপর অবশ্য ৪০ রানের জুটি গড়ে আবারও স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন শিহাব জেমস ও অধিনায়ক রাব্বি। কিন্তু দুজনই এক রানের ব্যবধানে আউট হওয়ার পর আলো নিভু নিভু হয়ে যায়। এরপর বল হাতে চার উইকেট নেওয়া বর্ষণ ব্যাট হাতেও জয়ের নায়ক প্রায় হয়েই গেছিলেন। ২৪ বলে ২১ রান করা এই পেসার অপর প্রান্তে অসহায়ের মতো চেয়ে দেখলেন মারুফ মৃধাকে প্লেইড অন হতে, সঙ্গে সেমি-ফাইনাল খেলার স্বপ্নটাও মিইয়ে যেতে। মাত্র পাঁচ রান দূরে থাকতে সবকটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের পেসার উবাইদ শাহ একাই নিয়েছেন পাঁচটি উইকেট, ৪৪ রান খরচ করেছেন তিনি। এছাড়া ৪৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন আলি রাজা। এই দুই পেসারের সঙ্গেই মূলত বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা পেরে ওঠেননি।