সেঞ্চুরি না পাওয়ায় আক্ষেপ নেই হৃদয়ের
সেঞ্চুরি থেকে মাত্র একটি বাউন্ডারি দূরে ছিলেন তিনি, শেষ ওভারে যে স্কুপটি খেলতে চেয়েছিলেন, সেটি ব্যাটে-বলে হলেই হয়তো সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যেতেন তাওহিদ হৃদয়। এরপর ইনিংসের শেষ দুই বলে ছয় মেরেও ৯৬ রানে অপরাজিত থেকে যেতে হয়েছে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে।
হৃদয়ের ৯৬ রানের ইনিংসেই শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। যদিও পাথুম নিশাঙ্কা ও চারিথ আসালাঙ্কার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কারণে সেই রানও যথেষ্ট হয়নি জেতার জন্য। তিন উইকেটের জয়ে সিরিজে ১-১ এ সমতা ফিরিয়েছে লঙ্কানরা।
এর আগেও নিজের অভিষেক ওয়ানডেতে ৯২ রান করেছিলেন হৃদয়। এবার তো অপরাজিতই থেকে গেলেন। তবে এ নিয়ে আক্ষেপ নেই এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের, ''আমার কোনো আক্ষেপ নেই, যেটা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আমি তো প্রথম বলেও আউট হয়ে যেতে পারতাম। সর্বশেষ ম্যাচে রান করতে পারিনি, টি-টোয়েন্টিতেও দ্রুত আউট হয়ে গিয়েছি। আমার সব সময় পরিকল্পনা থাকে একটা শুরু যখন পেয়েছি, যতটুকু পারব দিনটাতে যেন ক্যারি করতে পারি।'
নিজের ব্যাটিংয়ের মন্ত্র হিসেবে হৃদয় বলেছেন, ''মাথা যতটুকু কাজ করেছে, চেষ্টা করেছি খেলাটাকে শেষ করতে। যেহেতু ব্যাটসম্যান নাই, ব্যাটসম্যান থাকলে দৃশ্যপট ভিন্ন হতো। আমি ফিফটির পর, আসলে ফিফটির পর না, যখন দেখেছি একটু পরপর উইকেট যাচ্ছে, তখন লক্ষ্যই ছিল খেলাটা শেষ করব। আমি সেট ব্যাটসম্যান, আমি খেলাটা শেষ করলে ভালো কিছু হবে।'
এই উইকেটে যে ২৮০-২৯০ রান জেতার মতো নয় সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন হৃদয়, ''উইকেট ৩২০-৩৩০ রানের ছিল। আমরা থিতু হয়ে যদি ইনিংসটা ক্যারি করতাম, তাহলে হয়তো দৃশ্যপট ভিন্ন হতো।'